|
|
|
|
চাঙ্গুয়ালে টিআইএল প্রকল্প সেই তিমিরেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জমির অভাবে আটকেই রয়েছে ট্র্যাক্টর্স ইন্ডিয়া লিমিটেড (টিআইএল)-এর সম্প্রসারণ প্রকল্প। প্রয়োজন মোট ২০০ একর জমি। কিন্তু খড়্গপুরের অদূরে চাঙ্গুয়ালে সরাসরি ১৬৫ একর জমিই এখনও পর্যন্ত কিনতে পেরেছে সংস্থা। এর মধ্যে আবার মাত্র ৭০ একর মিলেছে একলপ্তে। বাকিটা ছড়ানো ছিটানো। ফলে কারখানা আংশিক চালু হলেও পুরো প্রকল্পটির রূপায়ণ নিয়ে সংশয় কাটেনি।
কামারহাটিতে নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্পের যন্ত্র তৈরি করে টিআইএল। সম্প্রতি সুবর্ণ জয়ন্তীতে পা দিয়েছে সেই কারখানা। সেখানে সম্প্রসারণের সুযোগ কম বলে বছর তিনেক আগেই নতুন লগ্নির প্রস্তাব দিয়ে রাজ্যের কাছে ২০০ একর চায় তারা। সিঙ্গুর ঘটনার জেরে তখন তাদের সরাসরি জমি কেনার পরামর্শ দেয় তৎকালীন বাম সরকার। কিন্তু পুরোটা কিনতে না-পারায়, বাকি জমি রাজ্যই অধিগ্রহণ করে দেবে বলা হয়েছিল। কিন্তু পালা বদলের হাওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি। কারণ তৃণমূল ক্ষমতায় এসে জানায়, বাকি জমিটা টিআইএল-কেই সরাসরি কিনতে হবে। অথচ ওই পথে হেঁটে এখনও সেই তিমিরেই দাঁড়িয়ে সংস্থা। জমি তো মেলেইনি। উল্টে দালালচক্র মাথা চাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে থমকে রয়েছে প্রকল্প।
২০১১-র জানুয়ারিতে খড়্গপুরের কাছে বিদ্যাসাগর শিল্প তালুকেও অধিগৃহীত জমি থেকে তাদের ১০৪ একর জায়গা দেয় রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। চাঙ্গুয়াল ও বিদ্যাসাগর শিল্প তালুক মিলিয়ে দু’টি প্রকল্পে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি হওয়ার কথা। নতুন সরকার বেসরকারি শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধী হওয়ায় পরে রফাসূত্র হিসেবে চাঙ্গুয়াল প্রকল্প ভেঙে দু’টুকরো করার সিদ্ধান্ত নেয় টিআইএল। গত নভেম্বরেই কারখানার প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান তথা এমডি সুমিত মজুমদার অবশ্য বলেন, “জমি না-পাওয়ায় কিছু সমস্যা তো হচ্ছেই। তবে আশা, কিছু দিনের মধ্যে তা মিটবে।”
প্রসঙ্গত, চাঙ্গুয়ালের জমিদাতা পরিবারের তরুণদের কর্মযোগ্য করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে টিআইএল। বিদ্যাসাগর শিল্প তালুকেও ১০ একরে গড়া হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আগামী বছরে সেখানকার কারখানাটি চালু হয়ে যাবে। |
|
|
|
|
|