|
|
|
|
হলদিয়া পেট্রোকেম |
সালিশি আদালতের পথে স্থগিতাদেশের আর্জি রদ হাইকোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল্স লিমিটেড (এইচপিএল)-এর মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন) যাওয়ায় স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সংস্থার আরও সাড়ে ১৫ কোটি শেয়ারের উপরে দাবি জানিয়ে সম্প্রতি ওই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে অন্যতম অংশীদার চ্যাটার্জি গোষ্ঠী। তাদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন এইচপিএল-কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এইচপিএলের ‘আর্টিকল অফ অ্যাসোসিয়েশন’ অনুযায়ী, মালিকানা নিয়ে বিবাদ হলে যে কোন পক্ষই আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে। সেই মতো সংস্থায় নিজেদের ‘শরিকি’ অবস্থান স্পষ্ট করতে গত ২১ মার্চ ইন্টারনেটে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে আবেদন করেছিল চ্যাটার্জি গোষ্ঠী। পর দিন, অর্থাৎ ২২ মার্চ তারা প্যারিসের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ আর্বিট্রেশনে (যা ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের শাখা) সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেয়।
এর পরের ধাপগুলি হল শুনানির স্থান নির্ধারণ, আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই এবং শুনানি। প্রক্রিয়াগুলি এখনও চালু হয়নি, তবে তার আগেই চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন এইচপিএল-কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আবেদন ছিল, চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে যাওয়া স্থগিত করুক হাইকোর্ট। মামলাটি এ দিন হাইকোর্টে উঠলে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ: এইচপিএলের আবেদনের বিরুদ্ধে চ্যাটার্জি গোষ্ঠীকে আগামী ৬ জুনের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। আর সেই হলফনামার উত্তর ২৭ জুনের মধ্যে পেশ করতে হবে এইচপিএল-কর্তৃপক্ষকে।
সব মিলিয়ে প্রবল আর্থিক সঙ্কটেও মামলার ‘শনি’ হলদিয়া পেট্রোকেমের পিছু ছাড়ছে না। সংস্থা-সূত্রের খবর: নতুন করে টাকা ঢালা না-হলে পশ্চিমবঙ্গের এই ‘শো-পিস’ প্রকল্পটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে উঠবে। হাতে খুব বেশি হলে দু’মাস, তার মধ্যে নতুন পুঁজি না-এলে কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান টাকা দেবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ‘স্ট্র্যাটেজিক’ বিনিয়োগকারী হিসেবে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের নামও ফের উঠে এসেছে। কিন্তু নতুন ভাবে শুরু হওয়া এই আইনি টানাপোড়েনের মাঝে লগ্নি টানার প্রক্রিয়া কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে শিল্পমহলের একাংশ। |
|
|
|
|
|