আগামী সপ্তাহেই জিন্দলদের সঙ্গে লিজ চুক্তি রাজ্যের
বশেষে বাধা কাটল। যাবতীয় বোঝাপড়ার পর আগামী সপ্তাহেই শালবনির ইস্পাত প্রকল্পের জন্য জিন্দল গোষ্ঠীর সঙ্গে লিজ চুক্তি হতে চলেছে রাজ্য সরকারের। শুক্রবার মহাকরণে সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ওদের কাছ থেকে আর্থিক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে কারখানা চালু করতে হবে। না-হলে জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে।” প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী এক দিন তা পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে এক কোটি টনের ইস্পাত প্রকল্প গড়তে পূর্বতন বাম সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল জিন্দল গোষ্ঠী। জমিদাতা পরিবারের এক জনকে চাকরি এবং শেয়ার দেওয়ার কথাও এ রাজ্যে প্রথম ঘোষণা করেছিল তারাই। তখন প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মোট ৪,২৫৯ একর জমির ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য। এর মধ্যে অধিগ্রহণ করা হয়েছিল ৩,৮০০ একর। আরও ২৭০ একর সংস্থা সরাসরি কিনলেও পরে তা খাস করে নেয় রাজ্য সরকার। পরে সেই জমি আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। প্রকল্পের বাকি ১৮৯ একর জমি মূলত ঊর্দ্ধসীমা আইনের জটে আটকে ছিল সরকারের কাছে। এ দিন শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেই সব জট কেটেছে।
পার্থবাবু বলেন, “আগের সরকার প্রকল্পটি নিয়ে চুক্তি (ডেভলপমেন্ট এগ্রিমেন্ট) করেছিল। আমরা পুরো জমির লিজ চুক্তি করছি। প্রকল্প ঘিরে দেওয়া সব সামাজিক কাজের প্রতিশ্রুতিও লিখিতপড়িত করা হচ্ছে।” শিল্পমন্ত্রী জানান, এর মধ্যে চাকরি ও অংশীদারিত্বের কথা থাকবে। সঙ্গে থাকবে হাসপাতাল নির্মাণ, সংশ্লিষ্ট প্রতি গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি, গ্রামের মানুষের ব্যবসা করার জন্য সব্জি মণ্ডি তৈরির প্রস্তাবও।
এ প্রসঙ্গে সংস্থার অন্যতম কর্তা বিশ্বদ্বীপ গুপ্ত বলেন, “প্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরি শুরু হয়ে গেছে। বর্ষার শেষে মূল কারখানা গড়ায় হাত দেওয়া হবে। হাসপাতালের শিলান্যাসও হবে সেই সময়ই। আমরা চাই, মুখ্যমন্ত্রী সেই শিলান্যাস করুন।” শিল্পমন্ত্রী বলেন, “তার আগে আমি এক বার যাব।”
জিন্দলদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১২৮টি প্রকল্পের জমি-জট কাটল বলে এ দিন দাবি করেন শিল্পমন্ত্রী। এই সব প্রকল্পই বাম আমলে প্রস্তাবিত। সম্মিলিত লগ্নির অঙ্ক প্রায় ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা। পার্থবাবু বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট কারণে জমি দেব। কিন্তু সেই জমি ঠিক ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে কিনা, তা-ও তদারকি করব। তবে খবরদারি করব না।”
জিন্দলদের প্রকল্প চূড়ান্ত হলেও অবশ্য বাম জমানায় চুক্তি হওয়া অন্য ইস্পাত প্রকল্পগুলি নিয়ে আদৌ আশাবাদী নন শিল্পমন্ত্রী। বরং প্রকল্পের কাজ না-করে যে সব সংস্থা কয়লার ব্লক নিয়ে আটকে রেখেছে, তাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “যারা কয়লার ব্লক নিয়ে ফেলে রেখেছে, কাজ করেনি, তাদের অবস্থা বুঝে রিপোর্ট করার জন্য আজই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলিকে ওই ব্লক ব্যবহার নিয়ে কাগজপত্র দেখাতে বলব।” পার্থবাবুর প্রশ্ন, “২০০৬ সালে ব্লক নিয়ে যারা ২০১২-তেও কাজ শুরু করতে পারল না, তাদের ব্লক দিয়ে লাভ কী?” একই সঙ্গে রাজ্যে কয়লার ব্লকের সংখ্যা কম হওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সরব হন শিল্পমন্ত্রী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.