কোচবিহারের মধুপুর ধামের উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। বুধবার ঝটিকা সফরে অসমের ধর্মগুরু শংকর দেবের স্মৃতি বিজড়িত মধুপুরধাম পরিদর্শনে আসেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন,“উনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। ওনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।” |
বুধবার ছবিটি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
অসম ও পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ককে খুড়তুতো ভাইয়ের মত বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তরুণ গগৈ বলেন, “মধুপুরে এসে শংকর দেবের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পেয়ে আমি তৃপ্ত। এখানকার উন্নয়নে আগেও চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যে ৬০ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০ লক্ষ টাকা দেব। এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মধুপুর ধামের উন্নয়নে একটি ধর্মীয় অ্যাকাডেমি গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।” মধুপুরধামের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও খোঁজ নেন তিনি। সমস্যা সমাধানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারের সঙ্গেও কথা বলবেন জানিয়েছেন। রাজধানী এক্সপ্রেসে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামার পর সড়ক পথে মধুপুরধামে পৌঁছন। সঙ্গে স্ত্রী ডলি গগৈ, অসমের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রণতি ফুকন, গোলকগঞ্জের বিধায়ক আবু তাহের ব্যাপারি এবং গৌরীপুরের বিধায়ক বনেন্দ্র মোচারি ছিলেন। মূলমন্দির, নামঘর, প্রতীক্ষালয়-সহ গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরে একটি অনুষ্ঠানে অসমের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রণতি ফুকন বলেন, “এখানে রাজনীতির ব্যাপার নেই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ধামের উন্নয়নের চেষ্টা করছেন।” অনুষ্ঠানে কোচবিহারের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ প্রসেনজিৎ বর্মন ছিলেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে করতাল বাজিয়ে সকলকে চমকে দেন। তাঁর কাছে মধুপুর সত্র সমিতি ধামের বেদখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধার ও মধুপুর নাগরিক সমিতি এলাকায় অসমীয়দের সুবিধার জন্য রেল স্টেশনের দাবি জানায়। তরুণ গগৈ’র সফর ঘিরে কোচবিহারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়। ইতিহাসের গবেষকরা জানান, ষোড়শ শতকের প্রথম দিকে শংকর দেব মধুপুরে আশ্রয় নেন। তৎকালীন অসম রাজার রোষে পড়ে তিনি কোচবিহারে এসেছিলেন। এখানে তিনি ধর্মীয় গ্রন্থ অনুবাদ করেন। কোচবিহারের অন্য মহারাজেরাও ওই মধুপুর ধামে আসতেন। |