দুর্ঘটনায় দুই দম্পতি জখম |
দু’টি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই দম্পতি জখম হয়েছেন। দূর্ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে, মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তায় মানবাজার ব্লক অফিসের কাছে। আহতদের মানবাজার গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতেরা হলেন সজল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী অনন্যা হালদার বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা গোপালনগরের বাসিন্দা। অন্য দুই জখম দম্পতি হলেন অসিত বাউরি ও তাঁর স্ত্রী সতী বাউরি। বোরো থানার ঘাট গ্রামে তাঁদের বাড়ি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুকুমার সরেন বলেন, “চারজনেরই মাথায় ও বুকে আঘাত রয়েছে। তার মধ্যে অসিতবাবু ও তার স্ত্রী সতী বাউরিকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিছানায় শুয়ে থাকা মানবাজার গ্রামীন হাসপাতালের কর্মী অনন্যা হালদার বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি পালস পোলিওর কাজ সেরে সেরে জামতোড়িয়া থেকে মোটরবাইকে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলাম। উল্টোদিক থেকে আসা মোটরবাইকের সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে পড়ি। তারপর আমি অচৈতন্য হয়ে পড়ি।” দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দু’টি মোটরবাইক বেশ গতিতে যাচ্ছিল।
|
এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তারই পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। রানিবাঁধ থানার তামাখুন গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক তাপস মাহাতোর বাবা সুধীর মাহাতো, মা সোনালি মাহাতো ও তাঁর বন্ধু জয়ন্ত মাহাতোকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে অভিযুক্ত যুবক ও অপহৃত কিশোরীর কোনও খোঁজ মেলেনি। ধৃতদের বুধবার খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই কিশোরীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরের দিন বিকেলে রানিবাঁধ থানায় তিনি বাবা পড়শি যুবক, তাঁর বাবা, মা ও বন্ধু দেউলি গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে পড়শি যুবক তাপস। তার বাবা, মা এবং এক বন্ধুও জড়িত। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অপহৃত ওই কিশোরী ও অভিযুক্ত যুবকের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” যদিও ধৃতদের পরিবারের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
|
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। রেল পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম জয়দেব বাউরি (২২)। বাড়ি পুরুলিয়া শহরের লোকোশেড পাড়ায়। বুধবার সকালে তেলকল পাড়া এলাকার রেল গেটের কাছে আদ্রা-বরকাখানা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়। |