|
|
|
|
প্যানেলে থেকেও চাকরি নেই, দরবার রাজ্যপালের কাছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা উতরোনোর পরে সরকারি দফতরে নিয়োগের তালিকায় নাম উঠেছিল বাঁকুড়ার অনন্য চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু দেখলেন, তাঁর অনেক পরের তালিকা থেকে কেউ কেউ নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন। তাঁর আর ডাক এল না। হতাশায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছ ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। রাজভবনে গিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই অনন্য এবং তাঁর সঙ্গে আরও কিছু চাকরি-প্রত্যাশী রাজ্যপালের কাছে ‘সুবিচারে’র আর্জি জানিয়ে এলেন। সঙ্গে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব সংগঠন যুব লিগের নেতৃত্ব। যাঁরা ইতিমধ্যেই পিএসসি-তে ধর্না দিয়ে এসেছেন। ঘটনাচক্রে, রাজভবনে দরবারের এই ঘটনা ঘটল জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়ে যাওয়ার ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টা পরেই!
রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে এ দিন সন্ধ্যায় অনন্য বলেছেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমি রাজ্যের একটি পিছিয়ে-পড়া জেলার বাসিন্দা। ২০১১ সালের মে মাসে যে তালিকা বেরিয়েছিল, তাতে বাঁকুড়া জেলা থেকে ১৩ নম্বরে ছিল আমার নাম। তার পরবর্তী কালের তালিকা থেকে কারা চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন, সেই সব নামধামও জোগাড় করেছি। পরিবারের সক্ষমতা নেই বলে আদালতে যেতে পারিনি। সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করুন।” একই আর্জি রাজ্যপালের কাছেও জানিয়েছেন তাঁরা। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরীর দাবি, রাজ্যপাল এমন ঘটনা শুনে ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর পক্ষে যা করণীয়, তা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন। অনির্বাণবাবুদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে-থাকা স্বাস্থ্য দফতরেই নিচু তলায় ২৮১৭ জনের প্যানেল পড়ে রয়েছে। |
|
|
|
|
|