|
|
|
|
প্রাক্তন বিধায়কের ছেলে ও আত্মীয়দের যাবজ্জীবন সাজা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
গ্রাম্য বিবাদের জেরে পড়শিকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হল প্রাক্তন বিধায়কের দুই ছেলে-সহ পাঁচ জনের। সাজাপ্রাপ্তেরা হলেন আরসিপিআই-এর প্রাক্তন হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক প্রয়াত ত্রিলোচন মালের দুই ছেলে খগেন্দ্রনাথ মাল ও হরেরাম মাল। এ ছাড়া বাকি সাজাপ্রাপ্তেরা হলেন, বিধায়কের জামাই ষড়ানন মাল, ভগ্নিপতি রামনাথ মাল ও ষড়াননবাবুর ছেলে কৃষ্ণ মাল। ষড়াননবাবু অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী। হরেরামবাবু রেলওয়ে কর্মী। খগেন্দ্রনাথবাবু ২০০৬ তে হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট সমর্থিত আরসিপিআই প্রার্থী ছিলেন। বুধবার রামপুরহাট আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্ট প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুধীর কুমার এই রায় দেন। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
সরকার পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মালেক মধু জানান, পূর্ব আক্রোশবশত গ্রাম্যবিবাদের জেরে ১৯৯৮ সালের ১২ মে মুরারই থানার বঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা বগলাকান্ত মালের বাড়িতে অভিযুক্তেরা হামলা চালায়। তাঁরা বগলাকান্তবাবুকে মারধর করেন। তাঁর ছেলে রাধেশ্যাম মাল (৩৬) বাঁচাতে যান। তখন অভিযুক্তেরা রাধেশ্যামকে বাড়ি থেকে জোর করে বাইরে টেনে নিয়ে যান। রাধেশ্যামবাবুর স্ত্রী তাপসীদেবী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এরপর বাড়ির বাইরে কৃষ্ণ মাল ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাধেশ্যামের মাথায় আঘাত করে। ১৫ মে তাপসীদেবী মুরারই থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। রাধেশ্যামবাবুকে প্রথমে চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল, পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ৩০ মে রাধেশ্যামবাবুর মৃত্যু হয়। এরপর তাপসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ৩২৪, ৩২৬, ৫০৬ ও ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে। দীর্ঘ দিন মামলা চলার পরে আদালত পাঁচ জনকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এ দিন রায় দেয়। আসামিদের আত্মীয়েরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খগেন্দ্রনাথের ছেলে সুজিত মালের দাবি, “ঘটনার সময় ছোট ছিলাম। যতদূর জানি জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে দু’পক্ষের মারপিট হয়েছিল। মদ্যপ অবস্থায় রাধেশ্যামবাবুই বাবা-কাকাদের উপর চড়াও হয়। পুরো ঘটনাটি সাজানো।” |
|
|
|
|
|