রামপুরহাটে এ বার উপ-পুরপ্রধানকে সরালেন পুরপ্রধান
বার সরে যেতে হল রামপুরহাটের উপপুরপ্রধান আব্বাস হোসেনকে। বুধবার রামপুরহাটের পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি উপপুরপ্রধান পদে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য সাহাকে নির্বাচিত করেন।
এই ঘটনায় পুরসভায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সম্প্রতি তৃণমূলের পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দলের নির্দেশেই পদত্যাগ করতে হয়েছে। সদ্য প্রাক্তন উপপুরপ্রধান, তৃণমূলের আব্বাস হোসেনের ‘উদ্ধত’ আচরণের কোনও প্রতিবাদ করেননি নির্মলবাবু, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ অনাস্থা এনেছিলেন রামপুরহাটের দু’জন বিজেপি, তিন জন নির্দল এবং এক জন ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলর। নির্মলবাবু এবং আব্বাস হোসেন ছাড়া বাকি পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলরও অনাস্থা প্রস্তাবে সরাসরি সই না করলেও অনাস্থা আনা ৫ কাউন্সিলরকেই আড়ালে সমর্থন করেন।
অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারীদের সমর্থন করেছিলেন কংগ্রেসের দু’জন এবং সিপিএমের দুই কাউন্সিলরও। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে পুরপ্রধানের পদ থেকে গত ৯ এপ্রিল ইস্তফা দেন নির্মলবাবু। ১৬ এপ্রিল নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল কাউন্সিলর অশ্বিনী তেওয়ারি। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ২০১০ সালে পুর-নির্বাচনের পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অশ্বিনীবাবু। দলীয় সাত কাউন্সিলর এবং অশ্বিনীবাবু-সহ তিন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল।
অশ্বিনীবাবুর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা অবশ্য মানতে চাননি কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপি-ও একই দাবি করেছে। দু’পক্ষের আরও দাবি, বর্তমান পুরবোর্ড আদৌ তৃণমূলের দখলে নয়। বরং কংগ্রেস, বিজেপি-র সমর্থন নিয়ে অশ্বিনীবাবুকে সর্বসম্মতিক্রমে পুরপ্রধান নির্বাচন করা হয়েছে। বুধবার অপসারিত হন আব্বাস হোসেন। এ দিন আব্বাস বলেন, “তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল উপপুরপ্রধান নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমাদের দলের জেলা চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে দলীয় কোনও মিটিং বা সভা না ডেকে, দলর সভাপতির নির্দেশ ছাড়াই আমাকে সরানো হল। আমি এর কারণ জানি না। আমাকে লিখিত ভাবে জানানোই হয়নি যে বুধবার নতুন উপপুরপ্রধান নির্বাচন হবে।” আশিসবাবু অবশ্য বলেন, “নতুন পুরপ্রধান তাঁর ক্ষমতাবলে উপপুরপ্রধান নির্বাচন করেছেন।” দলের কোনও কোনও সিদ্ধান্ত বা মিটিংয়ের ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরীর দাবি, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রমান মিলল আজ।” কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ বার সব দল এক সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান নির্বাচন করেছে। আশা করছি এ বার উন্নয়নমূলক কাজ ফের শুরু হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.