কলেজে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং দলীয় কর্মীকে ‘ছেড়ে দেওয়ার’ দাবিতে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় এক ঘণ্টা টাকি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এসএফআই কর্মী-সমর্থকেরা। সম্প্রতি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা জগদীশচন্দ্র পলিটেকনিক কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। শিবিরকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে টিএমসিপি ও এসএফআই সমর্থকদের বচসা হয়। দু’পক্ষে হাতাহাতিও হয় বলে কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ওই সময়ে বহিরাগতেরা কলেজে ঢুকে টিএমসিপি সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে। ওই ঘটনায় আহত ৪ তৃণমূল সমর্থককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
বেড়াচাঁপা-২ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য বিরাজ মিত্র-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। ওই রাতেই পুলিশ বিরাজবাবু এবং জীবন সেনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এ দিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে কলেজের সামনে টাকি রাস্তায় পেঞ্চ পেতে বিক্ষোভ দেখান এসএফআই কর্মী-সমর্থকেরা। চরম সমস্যায় পড়েন মানুষ। সিপিএমের দেগঙ্গা পূর্ব লোকাল কমিটির সম্পাদক বেল্লাল আলি বলেন, “তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে আমাদের দলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। অবিলম্বে তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে।” জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলের রত্না রায়চৌধুরী বলেন, “পুলিশ আইন মেনেই কাজ করেছে।”
|
জলের দাবিতে প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য-কারিগরি বিভাগের কর্মীদের ঘেরাও করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরের মোহনপুরে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আড়াই ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশ গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, মোহনপুর অঞ্চলে একটি জলের পাম্প থেকে বালি উঠছে। ঠিক মতো জলও উঠছে না। ফলত জলসঙ্কটে ভুগছেন এলাকাবাসী। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও মহকুমা প্রশাসনের মধ্যে মঙ্গলবার এক বৈঠক হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার ওই এলাকার জলের নমুনা সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মতো এ দিন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা কাজ করতে গেলে তাঁদের ঘেরাও করা হয়। এক বাসিন্দা পাপিয়া চক্রবর্তী বলেন, “গত দেড় বছর ধরে জলের সমস্যা। বারবার প্রশাসনকে জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক অজয় পাল বলেন, “আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করেছি। পর্যাপ্ত জলের গাড়ি ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।”
|
মেছোভেড়ি সংলগ্ন ঘরে ঘুমন্ত এক যুবককে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। গুলিতে জখম হন তাঁর এক আত্মীয়ও। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার দক্ষিণ মৌখালি গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম নিজানুর পুরকাইত (২০)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। পুলিশের অনুমান, ভেড়ির দখল নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন। নিহতের বাবা মান্নান পুরকাইত ২০ জনের নামে থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নিজানুর হাওড়ায় জড়ির কাজ করতেন। ওই বিকেলে বাড়ি ফেরেন। রাতে আত্মীয় রবিউল পুরকাইতকে নিয়ে মেছোভেড়ি পাহারার কাজে চলে যান। পাহারার কাজ শেষে ভেড়ি সংলগ্ন একটি দরমার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। তখনই ওই ঘটনা। ঘটনাস্থলেই নিজানুরের মৃত্যু হয়। ক্যানিং হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রবিউলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ক্যানিং-২ ব্লকের তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা জানিয়েছেন, ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় মিছিল করা হবে। |