|
|
|
|
ভাঙাচোরা রাস্তায় প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান |
সাকুল্যে দৈর্ঘ্য মাত্র ২০০ মিটার। রাস্তার এই ভাঙা অংশটুকুও গত প্রায় এক বছর ধরে মেরামতি করেনি পূর্ত (সড়ক) দফতর। ফলে বিপজ্জনক ভাবে চলাচল করছে যানবাহন। চিত্রটি বাগনানের। বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরিয়ে রাস্তাটি মুরালিবাড় গ্রামের উপর দিয়ে এসে মিশেছে মুম্বই রোডে। বাগনান লেভেলক্রসিং থেকে মুম্বই রোড পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য সাকুল্যে মাত্র ৫০০ মিটার। এটি পরিচিত ওয়ান-ওয়ে রোড হিসাবে। এই রাস্তারই মাঝখানের শ’দুই মিটার অংশ বেহাল। |
|
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
এটিই শহরে প্রবেশ করা বা শহর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তা। প্রতিদিন কয়েকশো গাড়ি এই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে। বাগনান হয়ে শ্যামপুরে যাতায়াত করার অন্যতম প্রধান রাস্তা এটি। বেশ কয়েকটি রুটের বাস, অটো রিকশা, ট্রেকার ছাড়াও প্রতিদিন এই রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে অসংখ্য লরি, ছোট গাড়ি, মোটর বাইক, ইঞ্জিনভ্যান এবং ভ্যান-রিকশা। রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় গর্তে জল জমেছে। বাস এবং গাড়িগুলি রাস্তার এই অংশটুকু পার হওয়ার সময়ে দুলতে থাকে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে প্রতিপদে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই এই রাস্তার উপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে হয় বলে জানান অটো রিকশা চালকেরা। পথচারীরা জানান, গর্ত এড়িয়ে চলার জন্য গাড়িগুলি প্রায়ই উঠে আসে ফুটপাথের উপরে। ফলে তাঁদেরও দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা থাকে। এই রাস্তার উপর দিয়ে সাইকেলে করে স্কুলে যাতায়াত করে বহু ছাত্র-ছাত্রী। অভিভাবকদের বক্তব্য, বেহাল রাস্তার জন্য তাঁরা দুশ্চিন্তায় থাকেন। আইএনটিইউসি অনুমোদিত রিকশা এবং ভ্যান-রিকশা চালকদের সংগঠনের নেতা কৃষ্ণেন্দু সাঁতরা বলেন, “বেহাল রাস্তার জন্য ভ্যান এবং রিকশাচালকদের রুটি-রুজি যেতে বসেছে। রাস্তা সংস্কার না-হলে আন্দোলনে নামা ছাড়া গতি নেই।” রাস্তার দু’ধারে রয়েছে ওষুধ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান। ব্যবসায়ীরা জানান, খদ্দেররা দোকানে আসেন ভয়ে ভয়ে। পাছে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, রাস্তাটির পাশেই তৈরি হচ্ছে বাগনান রেলওয়ে উড়ালপুল। রেল এবং রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতর যৌথ ভাবে এটি তৈরি করছে। উড়ালপুলটি তৈরি হয়ে গেলে রাস্তাটির গুরুত্ব আর থাকবে না। তখন সব গাড়ি চলাচল করবে রেলওয়ে উড়ালপুলের উপর দিয়ে। তার ফলেই এই রাস্তাটি মেরামত করার আগ্রহ দেখায়নি পূর্ত (সড়ক)। কিন্তু উড়ালপুলটির নির্মাণকাজ শেষ হতে যেহেতু দেরি আছে তাই এই রাস্তাটি মেরামত করার ব্যাপারে নতুন করে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দফতরের হাওড়া ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার সত্যব্রত বসু বলেন, “দু’চার দিনের মধ্যেই রাস্তাটির পুরোপুরি মেরামতির কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|