|
|
|
|
অপসারিত হলেন না সন্দেশখালির সভাপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন তাঁর দলের সদস্যেরাই। নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য জোটাতে না পারায় পরাজিত হতে হল দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকেই। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে বুধবার ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সকাল থেকে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার।
গত ২০০৮ সালে সন্দেশখালি-১ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৩টি, সিপিএম ৬টি, সিপিআই ও কংগ্রেস ১টি করে আসন দখল করে। সভাপতি হন তৃণমূলের রঞ্জিত দাস। তারপরে শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। ২০১০ সালে রঞ্জিতবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলের অন্যতম সদস্য অসীম দাস-সহ অন্য কয়েক জন। তা নিয়ে বেশ গোলমাল হয়। অনাস্থায় জয়ী হয়ে সভাপতি হন অসীমবাবু। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের একটি বড় অংশ রঞ্জিতবাবুর সঙ্গে রয়েছেন। সে কারণে গত ৫ এপ্রিল সিপিএমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে অনাস্থা আনেন রঞ্জিতবাবু।
এ দিন দুপুরে পঞ্চায়েত সমিতির ঘরে অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি শুরু হয়। কিন্তু অসীমবাবু ও তাঁর সমর্থক সদস্যেরা হাজির হননি। আস্থা প্রমাণের জন্য জরুরি ছিল মোট আসনের অর্ধেক সদস্যের সমর্থন। কিন্তু রঞ্জিতবাবুর সঙ্গে ৯ জন সদস্য ছিলেন। সে কারণে কোরাম হয়নি। আরও এক সদস্য নির্দিষ্ট সময়ের পরে পৌঁছান। কিন্তু প্রয়োজনীয় ১১ জন সদস্য না হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। পরে রঞ্জিতবাবু বলেন, “বর্তমান সভাপতি সব ক্ষেত্রে সিপিএমের সঙ্গে মিলিত হয়ে কাজ করছেন। যাঁদের ভোটে সভাপতি হলেন তৃণমূলের সেই সদস্যেরা তাঁর কাছে অবাঞ্ছিত। তিনি ভয় দেখানোয় এক সদস্যা পঞ্চায়েত সমিতিতে আসতে পারেননি। তাই আমরা কোরাম গঠন করতে পারলাম না।”
তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম দাস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “মানুষ তাঁর কথার উত্তর দেবে। তবে আমাকে চ্যালেঞ্জ না করে আলোচনায় বসলে আমি স্বইচ্ছায় চেয়ার ছেড়ে দিতাম।” তবে তৃণমূলের নেতৃত্ব জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বিরোধীদের শক্তি জোগাবে। |
|
|
|
|
|