|
|
|
|
সরকারি বই আসেনি, পঠন-পাঠন ব্যাহত স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
চলতি শিক্ষাবর্ষের চার মাস কেটে গেলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক এখনও এসে পৌঁছয়নি। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। বেশ কিছু স্কুলে পাঠ্যপুস্তকের অভাবে ইউনিট টেস্ট পিছিয়ে দেওয়া বা বাতিল করা হয়েছে। কোথাও কোথাও পুরনো বই দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিলি করে জেলা সর্বশিক্ষা মিশন দফতর। রামনগরের দেপাল বাণেশ্বর চারুবালা বিদ্যামন্দিরের প্রধানশিক্ষক ননীগোপাল বেরা বলেন, “ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি বই এখনও আসেনি। অন্যান্য শ্রেণিরও বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তক আসেনি। বই সরবরাহ না থাকায় বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। ইউনিট টেস্ট নিতেও অসুবিধা হচ্ছে।” করঞ্জী সুভাষ বিদ্যাভবনের শিক্ষকেরা আবার পুরনো বই থেকে পড়িয়েই ইউনিট টেস্ট নিয়েছেন।
সরকারি পাঠ্যপুস্তকের অভাবে বিভিন্ন স্কুলে পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে বলে মেনে নিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দীপঙ্কর রায়। তিনি বলেন, “রাজ্য থেকে বই সরবরাহ করা হয় জেলা সর্বশিক্ষা দফতরে। ওরাই জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বই পাঠায়। রাজ্য থেকে বই সরবরাহ কম হওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে বলে শুনেছি।” সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা প্রকল্প আধিকারিক সৌম্যজিৎ দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে অস্বীকার করেন। তবে জেলা সবর্র্শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির ১ লক্ষ ১৯ হাজার ইংরেজি বইয়ের দরকার থাকলেও মাত্র ৬২ হাজার বই এসেছে। অন্য বিষয়ের কিছু পাঠ্যপুস্তকও এখনও এসে পৌঁছয়নি। রাজ্য থেকে বাকি পাঠ্যপুস্তক এলেই স্কুলে-স্কুলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত মণ্ডল বলেন, “সরকারি পাঠ্যপুস্তকের অভাবে জেলা জুড়েই সমস্যা হচ্ছে। অবিলম্বে বই সরবরাহের জন্য রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জেলা পরিষদও।’’
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে যুব-কংগ্রেস। সম্প্রতি কাঁথি পশ্চিম চক্রের ভারপ্রাপ্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কানাইলাল বাঁকুড়ার কাছে ডেপুটেশনও দেয় দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা যুব-কংগ্রেস। |
|
|
|
|
|