|
|
|
|
পটাশপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব |
পদ থেকে সরতে ব্লক সভাপতির চিঠি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটাশপুর |
ব্লক সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠালেন পটাশপুর-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা পটোল আদক। ‘দলের অভ্যন্তরে অসহনীয় অবস্থা’র কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীকে চিঠি লিখেছেন পটোলবাবু। বছরখানেক আগে সোমনাথ দাস অধিকারীকে সরিয়ে পটোলবাবুকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছিল। সে বার যাঁর সঙ্গে বিরোধের জেরে সোমনাথবাবুকে সরে যেতে হয়েছিল, এ বারও সেই ব্লক যুব-তৃণমূল সভাপতি তাপস মাজির সঙ্গেই পটোলবাবুর গণ্ডগোল বলে দলীয় সূত্রে খবর। প্রত্যক্ষ ভাবে কোনও নাম না নিলেও পটোলবাবু বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা, নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে দলের অনেক নেতা-কর্মী আমাকে বার বার অসম্মানিত করছেন। এই ভাবে আত্মমর্যাদা বিসর্জন দেওয়ার কথা ভাবতে পারি না।”
অমর্ষি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপসবাবু তৃণমূলের ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি। তিনি অবশ্য পটোলবাবুর সঙ্গে বিরোধের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “সম্প্রতিই প্রদেশ কমিটির সদস্য হয়েছেন পটোলবাবু। দলীয় নিয়ম অনুযায়ী ব্লক সভাপতির পদ ওঁকে ছাড়তেই হত। দলের নিয়ন্ত্রণও রাখতে পারছিলেন না উনি।”
চিস্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চিস্তিপুর ভেড়ি বুথে বাড়ি পটোলবাবুর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বুথেরই বাসিন্দা সিপিএমের সিংদা জোনাল কমিটির সদস্য পঙ্কজ সাউকে ঘরে ফেরাতে সম্প্রতি উদ্যোগী হন পটোলবাবু। এই সিদ্ধান্তে মত ছিল না তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, এক সময় পঙ্কজবাবুর নেতৃত্বে ব্যাপক অত্যাচার চলেছিল এলাকায়। সোমবার রাতে এই নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাধে। থামাতে গিয়ে হেনস্থা হতে হয় পটোলবাবুকে। তার পরেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “শিশিরবাবু দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি ফিরলে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।” |
|
|
|
|
|