তিনি যে এখনও ফুরিয়ে যাননি, তা প্রমাণ করতেই ভবানীপুর ক্লাবে যোগ দিতে চলেছেন হোসে রামিরেজ ব্যারেটো। “এখনই কোচিং করার কোনও ইচ্ছে নেই। আরও দু’তিন বছর অনায়াসেই সুনামের সঙ্গে খেলে যেতে পারব। নিজেকে প্রমাণ করতে তাই ভবানীপুরে খেলব বলে ঠিক করেছি।” বুধবার বিকেলে ভবানীপুর তাঁবুতে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সেরে বাড়ি ফেরার পথে বলে দিলেন মোহনবাগানের শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার সঙ্গী।
আই লিগের এত ক্লাব থাকতে হঠাৎ কেন প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ভবানীপুরের জার্সি গায়ে দিচ্ছেন ব্যারেটো? দু’টো কারণে।
এক) পরিবারের সুবিধার জন্য কলকাতায় থাকতে আগ্রহী ব্যারেটোর আর কোনও রাস্তা ছিল না। কারণ আই লিগের বাকি দুটি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল বা প্রয়াগ ইউনাইটেড তাঁকে নিতে আগ্রহী নয়।
দুই) ভবানীপুর ক্লাব যাঁরা চালান তাঁরা মোহনবাগানেরই বড় কর্তা। ফলে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তিনি। ব্যারেটো নিজে অবশ্য বললেন, “আপনি যদি পারফর্মার হন, যে কোনও টিমেই নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন। তা ছাড়া ভবানীপুর তো দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে খেলবে। যেখানে এ বার ভাইচুংও খেলেছে।” ব্যারেটো এ দিন মূলত আলোচনা করতে এসেছিলেন ভবানীপুরের বাকি বিদেশি ফুটবলার নিয়ে। নতুন ক্লাব সবুজ তোতাকে প্রস্তাব দিয়েছিল কোচ কাম ফুটবলার হওয়ার। কিন্তু তিনি রাজি হননি। নিরানব্বইয়ে এসেছিলেন মোহনবাগানে। মাঝে একবার প্রশাসনের ঝামেলার সময় ক্লাব ছেড়ে চলে যান। দু’বছর পর ফের ফিরে আসেন সবুজ-মেরুনে। ওই জার্সিতে ২০০-র উপর গোল আছে তাঁর। মোহনবাগান তাই চাইছে তাদের ‘ঘরের ছেলেকে’ বড় সম্মান-সহ বিদায় জানাতে। মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র চেয়েছিলেন বুধবারই আলোচনা করে সংবর্ধনার দিন ঠিক করতে। তিনি সারা দিন ব্যস্ত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত তাঁবু সারানো নিয়ে। এ দিনই ক্লাব তাঁবুতে এসে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র তাঁবু সারাতে দশ লাখ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাতে ইডেনে কে কে আর ম্যাচের জন্য দুর্ঘটনাস্থলে মোহনবাগান কর্তাদের যেতে দেয়নি পুলিশ। উল্টে হেনস্থা হতে হয় ফুটবল সচিব উত্তম সাহাকে। মোহন সচিব বললেন, “আমরা ক্রীড়ামন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। এটা চলতে পারে না।” |