একটা রোমহর্ষক নাটকের জন্য যে সব মাল-মশলার প্রয়োজন, তার কোনওটারই অভাব ছিল না বুধবারের বের্নাবৌ স্টেডিয়ামে। ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো ম্যাচের ভাগ্য কখনও রিয়াল মাদ্রিদের দিকে দুলছে, কখনও বায়ার্ন মিউনিখ। নির্ধারিত সময়ের পরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে কোন দল খেলবে, তার নিষ্পত্তি হল না। ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রিয়ালকে এগিয়ে দেন রোলান্ডো। ডান দিক থেকে দি’মারিয়ার জোরাল শট বক্সে হাতে লাগিয়ে ফেলেন আলাবা। পেনাল্টি নষ্ট করেননি রোনাল্ডো। এখানেই শেষ নয়। মাত্র দশ মিনিটে আরও একটা গোল করে রিয়ালের স্বপ্নের দৌড়ে বাস্তবের ছোঁয়া লাগান রোনাল্ডো। বায়ার্ন-রক্ষণের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে। যদিও এই গোলে ওজিলের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। |
খেলার পঁচিশ মিনিটের মধ্যে রোনাল্ডোর জোড়া গোলে যখন গ্যালারিতে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছেন রিয়াল সমর্থকেরা, তখনই নাটকের পর্দা খুলে দিলেন গোমেস। পেপের কঠিন ট্যাকলে বক্সের মধ্যে পড়ে যান গোমেস। এ বার পেনাল্টি থেকে গোলের মুখ খুলতে ভুল করেননি রবেন। রিয়াল গোলকিপার কাসিয়াসের আঙুল ছুুঁয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে। এর পরে প্রচুর সুযোগ পেয়েছিলেন দু’দলের ফুটবলাররা। কিন্তু কোনওটাই গোলের সন্ধান দিতে পারেনি। রবেন বায়ার্নকে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা দিলেও ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা নষ্ট করেন তিনিই। রিয়াল গোলকিপারকে একা পেয়েও গোলের বাইরে মারেন। এ সবের মধ্যে বায়ার্নের জন্য খারাপ খবর, কার্ড সমস্যায় পড়ে যাওয়ায় ফাইনালে উঠলে আলাবাকে পাবেন না জাপ হেইঙ্কস। |