প্রথমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু। তার পরে এসএন্ডপি এবং মুডিজ এর মূল্যায়নে অধোগতি। যার মধ্যে আবার প্রধানমন্ত্রী এবং ইউপিএ-প্রধানের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ। যার ধাক্কায় সরকারই যখন কিছুটা উদ্বিগ্ন, তখন প্রধান বিরোধী বিজেপি কী করে বসে থাকে?
এবং থাকেওনি। বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি আজ বলেন, “এত দিন অর্থনীতির এই দুরবস্থার কথাটাই আমরা বলে আসছি। আজ আন্তর্জাতিক মহলও সে কথা বলছে। বিজেপি সংস্কারের পক্ষে। কেন্দ্রকে সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত। পেনশন বিল নিয়ে লোকসভায় সরকারকে সহযোগিতাও করা হলেও শরিকি আপত্তিতে পিছু হঠেছে কেন্দ্র।” গোটা দুর্দশার জন্য সরাসরি মনমোহন সিংহকেই দায়ী করছে বিজেপি। জেটলির বক্তব্য, “আগেও জোট সরকার হয়েছে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানাতেও জোট সরকার হয়েছে। কিন্তু তার জন্য সরকারের নীতি স্তব্ধ হয়ে যায়নি। মনমোহন সিংহের সিদ্ধান্তহীনতা ও ইউপিএ-র দ্বৈত ক্ষমতার খেসারত গোটা দেশকে দিতে হচ্ছে।” প্রণববাবু অবশ্য এ দিনও বলেছেন, “সংস্কারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সংস্কার সংক্রান্ত কিছু বিল চলতি অধিবেশনেই পাশ করানো হবে। কিছু পরের অধিবেশনে হবে।”
অর্থমন্ত্রী যা-ই বলুন, অর্থনীতির শোচনীয় অবস্থার কথা ঘরোয়া স্তরে স্বীকার করছেন সরকার ও কংগ্রেসের সদস্যরা। প্রকাশ্যে না বললেও তাঁরা মানছেন, অর্থনীতির বাস্তবতাকে অস্বীকার করে ভোট-বাক্স ভরার শরিকি রাজনীতির দায়ে থমকে যাচ্ছে আর্থিক সংস্কার। পাহাড় প্রমাণ ভর্তুকির বোঝা ঘাড়ে চেপে থাকায় বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি এবং রাজকোষ ঘাটতি। এ সবের চোরাবালিতে দেশের অর্থনীতির চাকা ক্রমশ বসে যাচ্ছে জেনেও সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। |