এক মাস পর মাওবাদী কবল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বিজেডি বিধায়ক ঝিনা হিকাকা। আজ এক অডিও বার্তায় মাওবাদীরা জানিয়েছে, বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন, এই শর্তে হিকাকাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ২৪ মার্চ কোরাপুট জেলার লক্ষ্মীপুর থেকে হিকাকাকে অপহরণ করা হয়। আজ তাঁর সম্ভাব্য মুক্তির খবর পেয়ে বিজেডি সাংসদ জয় পণ্ডা বলেন, “এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু তাঁকে যদি পদত্যাগের জন্য জোর করা হয়, তা দুর্ভাগ্যজনক।”
অডিও বার্তায় অন্ধ্র-ওড়িশা সীমানা কমিটির কম্যান্ডার অরুণা বলেন, “গতকাল ১৫০ জনের ‘জন-আদালত’ হিকাকাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামিকাল সকাল দশটা নাগাদ নারায়ণপটনার কাছে বালিপেটায় তাঁর স্ত্রী কৌশল্যা এবং কোরাপুটের আইনজীবী নীহাররঞ্জন পট্টনায়কের হাতে হিকাকাকে তুলে দেওয়া হবে। ‘জন-আদালতে’ বিজেডি বিধায়ক লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ছাড়া পাওয়ার পরই তিনি ইস্তফা দেবেন।” কৌশল্যা এবং নীহার পট্টনায়কের সঙ্গে ওড়িশা সরকার পুলিশ পাঠালে ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দিয়েছে মাওবাদীরা।
মাওবাদীদের শাখা সংগঠন চাষি মূলিয়া আদিবাসী সঙ্ঘের নেতা নাচিকা লিঙ্গার নাম পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, শুধু পদত্যাগই নয়, ‘জন-আদালতে’ হিকাকা কথা দিয়েছেন লিঙ্গার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা তুলে নেওয়ার জন্যও তিনি সরকারকে চাপ দেবেন। বিধানসভা ভোটেও নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে চান লিঙ্গা। সেখানেও তিনি লিঙ্গাকে সমর্থন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হিকাকা।
অডিও বার্তায় অরুণা দাবি করেছেন, বন্দি অবস্থায় প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ঘুরে ঘুরে আদিবাসীদের দূরবস্থা নিজের চোখে দেখেছেন হিকাকা। স্বীকার করেছেন, তাঁদের সমস্যার সমাধানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। মাওবাদী নেত্রীর কথায়, “জনতার আদালতে দাঁড়িয়ে হিকাকা নিজের ভুল স্বীকার করে জানিয়েছেন, বিজেডি দলে যোগ দিয়ে এবং বিধায়ক হয়েও আদিবাসীদের জন্য তিনি কিছুই করতে পারেননি। তাই বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই করবেন।” |