ধানবাদের খানুডি স্টেশনে যাত্রীদের প্রহারে রেলকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে ভোজুডির রেল পুলিশ। ধৃতের নাম অজয়প্রসাদ মাহাতো। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের মহুদা থানার ছত্রুটাড় গ্রামে। বুধবার সকালে বাগমারা এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার বলেন, “খানুডিতে রেলকর্মীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় একজনকে ধরেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে ঘটনায় জড়িত বাকিদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা হচ্ছে।”
মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের খানুডি স্টেশনে গোমো-চক্রধরপুর ট্রেনের এক দল যাত্রীর হাতে প্রহৃত হন চিফ বুকিং সুপারভাইজার পুরুলিয়ার বলরামপুরের বাসিন্দা হরিপ্রসাদ লাল বেগি। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকিট কাটার পরে ফেরত দেওয়ার খুচরো নিয়ে হরিপ্রসাদবাবুর সঙ্গে বিবাদ বাধে এক যাত্রীর। পরে অন্য যাত্রীরা কাউন্টারে ঢুকে তাঁকে বাইরে এনে চড়াও হয়। হরিপ্রসাদবাবু তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যেতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান রেল লাইনের উপরে। অন্য কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় স্টেশনে আরপিএফ না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রেল পুলিশ। তাদের বক্তব্য, আগে খানুডি-সহ অন্য স্টেশনে কয়েকজন আরপিএফ কর্মী মোতায়েন থাকতেন। সম্প্রতি তাঁদের সরানো হয়। রেল পুলিশের দাবি, আরপিএফ থাকলে গত কাল হয়তো এই ঘটনা এড়ানো যেত।
আদ্রা ডিভিশনের আরপিএফের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার জ্যোতিকুমার সতিজা বলেন, “খানুডি স্টেশনে স্থায়ী ভাবে কর্মী মোতায়েন থাকে না। প্রয়োজন হলে কর্মীরা যান।” রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫-৩০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করে মামলা শুরু হয়েছে। এ দিন ধানবাদ জেলা সদর হাসপাতালে হরিপ্রসাদবাবুর দেহের ময়না তদন্ত হওয়ার পরে রেলের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে তাঁর বলরামপুরের বাড়িতে দেহ নিয়ে এসে সন্ধ্যায় শেষকৃত্য হয়। |