|
|
|
|
পুরভোটে জোট, দুর্গাপুর দখলে চায় কংগ্রেস-তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘একলা’ চলার কথা শোনা যাচ্ছে দুই শিবিরেই। কিন্তু আসন্ন দুর্গাপুর পুর নির্বাচনে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়বে বলে জানিয়ে দিল তৃণমূল।
দুর্গাপুরে এসে বুধবার তৃণমূলের বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাস বলেন, “জোট বেঁধেই বামফ্রন্টের হাত থেকে এই পুরসভা ছিনিয়ে নেব আমরা।” জোট জিতলে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব মুখোপাধ্যায় মেয়র হবেন বলেও তিনি আগাম জানিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুদেব রায় জানান, এক মাস আগেই তাঁদের পক্ষ থেকে জোট চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, “শিল্পনগরীর মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। মানুষের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়েই জোট বেঁধে লড়া হবে।”
১৯৯৬ সালে ‘নোটিফায়েড এরিয়া’ থেকে পুরসভা হয় দুর্গাপুর। পরের বছর প্রথম ভোট হয়। সেই থেকে এই পুরসভা বামেদেরই দখলে রয়েছে। আগাগোড়া মেয়র পদে রয়েছেন সিপিএমের রথীন রায়। গত বার, ২০০৭ সালের নির্বাচনে ৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৭টি পেয়েছিল বামফ্রন্ট। কংগ্রেস ও তৃণমূলের দখলে গিয়েছিল তিনটি করে ওয়ার্ড। তবে সে বার কংগ্রেস ও তৃণমূলের সার্বিক জোট হয়নি। কয়েকটি ওয়ার্ডে নিচুতলায় ‘বোঝাপড়া’ হয়েছিল মাত্র। রথীনবাবু অবশ্য বলেন, “আগের বার ওরা লুকিয়ে লুকিয়ে জোট করেছিল। তার চেয়ে এটা ভাল! মানুষ অন্তত বুঝবেন যে, ওরা দল বেঁধে আমাদের হারানোর চেষ্টা করছে।”
এ বার জোটের প্রস্তাব দিয়ে আগে ভাগেই ১৫টি আসন দাবি করেছিল কংগ্রেস। তৃণমূল তাতে রাজি হয়নি। মঙ্গলবার রাতে সিটি সেন্টারে জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে দু’পক্ষ বৈঠকে বসে। অলোকবাবু ও অপূর্ববাবু ছাড়াও দুর্গাপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সেখানে ছিলেন। কংগ্রেসের সুদেববাবু ছাড়া ছিলেন আইএনটিইউসি নেতা বংশীবদন কর্মকার, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অলোকবাবুর দাবি, আসন ভাগাভাগি সমস্যা হবে না। তাঁদের ‘মেয়র প্রার্থী’কেও কংগ্রেস সমর্থন করছে। অপূর্ববাবু বলেন, “আপাতত একজোট হয়ে লড়াই ছাড়া কিছু ভাবছি না। জেতার পরে দল মেয়র হতে বললে যথাসম্ভব দায়িত্ব পালন করব।” প্রতিপক্ষের মেয়র-পদপ্রার্থীকে নিয়ে মন্তব্যে না-গেলেও রথীনবাবুর প্রতিক্রিয়া, “আগে তো জিতুন!” |
|
|
|
|
|