জলপাইগুড়ির সমাজপাড়ায় গৃহবধূ মঞ্জু সরকারের (২৬) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চারতলা আবাসনের ছাদ থেকে পড়ে গৃহবধূ মঞ্জুদেবীর মৃত্যু হয়। বহুতলের উল্টোদিকের একটি একতলা বাড়িতে তিনি থাকতেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তা ছাড়া আবাসনের গেট সবসময় খোলাই থাকে। গৃহবধূর স্বামী উত্তমবাবু পেশায় ডেকোরেটর। যৌথ পরিবারের গৃহবধূ মঞ্জুদেবী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেরসিন তেল কিনতে বাড়ি থেকে বার হন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটে নাগাদ ভারী কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে পড়শিরা বাইরে এসে দেখেন মঞ্জুদেবীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ পান্ডে বলেন, “যে বহুতলের ছাদ থেকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে সেটি খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। বহুতলটির বাসিন্দাদেরও জেরা করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যার বলেই মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত চলছে। এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।”
ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঞ্জুদেবীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ডাউকিমারি থেকে তাঁর বাপের বাড়ির আত্মীয়রা জলপাইগুড়িতে এসেছেন। তাঁর কয়েকজন আত্মীয় জানান, কিছুদিন আগে হঠাৎই মঞ্জুদেবী বাপের বাড়িতে চলে যান। স্বামী উত্তমবাবু গিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। দিন কয়েক আগে মঞ্জুদেবীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে খবর পাঠিয়ে দেখা করতে বলা হয়। কোনও পারিবারিক সমস্যা চলছিল জেরে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে পুলিশ এবং পড়শিরা মনে করছেন। |