|
|
|
|
ঘনঘন স্টপ, ক্ষোভ মানবাজারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মানবাজার |
মানবাজার-পুরুলিয়া রুটে অতিরিক্ত বাসস্টপ থাকায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, “এক-দেড় কিলোমিটার অন্তর বাসস্টপ তৈরি হয়েছে। এর ফলে পুরুলিয়ায় পৌঁছতে বা ফিরতে অনেক বেশি সময় লাগছে।” তাঁদের দাবি, বাসস্টপের সংখ্যা কমিয়ে যাত্রাপথের সময় কমিয়ে আনা হোক।
পুরুলিয়া থেকে মানবাজারের দূরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, এই পথ যাওয়ার জন্য ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময় ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিজ্ঞতা, ওই পথ যেতে আড়াই ঘণ্টা গড়িয়ে যায়। নিত্য যাত্রীদের কথায়, “আড়াই ঘণ্টা বাসের ধকল সহ্য করার পরে পুরুলিয়াতে পৌঁছে আর কাজ করার উৎসাহ থাকে না।” তাঁদের আরও অভিযোগ, গত কয়েক বছরে বাস ভাড়া বাড়লেও সেই তুলনায় পরিষেবার মান বাড়েনি।
মানবাজারের বাসিন্দা শঙ্খনিনাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরুলিয়ায় আমার অফিস। শুনেছি মানবাজার থেকে পুরুলিয়া যেতে সরকারি সময় সীমা রয়েছে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। কিন্তু কখনই নির্দিষ্ট সময়ে বাস পৌঁছয় না। এক-দেড় কিলোমিটার অন্তর চালক বাস থামিয়ে যাত্রী তোলে। বাসের ছাদে বিভিন্ন মালপত্র থেকে ছাগল-ভেড়াও তোলা হয়। পুরুলিয়া থেকে মানবাজার ফেরার সময়েও একই অবস্থা।” যাত্রীদের অভিযোগ, ৫৪ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ৪০টি জায়গায় বাস থামানো হয়। বাসকর্মীদের আপত্তি জানিয়েও কাজ হয়নি। তাঁদের কথায়, “বান্দোয়ান, বোরো, মানবাজার, কেন্দা, পুঞ্চা প্রভৃতি এলাকায় ট্রেন যোগাযোগ নেই। বাসই এক মাত্র ভরসা। কিন্তু বাসে দীর্ঘ সময় ধরে যাতায়াত করা অনেকের কাছে রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র মানবাজার ব্লক সভাপতি জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, “মানবাজার বাসস্ট্যান্ডে বাসগুলি ঘুর পথে নিয়ে যেতে হয়। সে জন্য কিছুটা বাড়তি সময় লাগে।” জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “মানবাজার-পুরুলিয়া রুটে এই সমস্যা রয়েছে। ওই রাস্তায় বাসের ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময় লাগার কথা। অনেকগুলি জায়গায় বাস থামানোর জন্যই বেশি সময় লাগছে।” তাঁর আশ্বাস, বিষয়টি নিয়ে ওই রুটের বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। বাস মালিক সমিতির অন্যতম সদস্য মনোজ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “হঠাৎ করে কোনও স্টপে বাস না থামালে পরের দিন ওই এলাকার বাসিন্দারা সে জন্য বাসকর্মীদের উপরে হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে আমাদের কয়েক কিলোমিটার অন্তর বাস থামাতে হয়।”
আঞ্চলিক পরিবহণ বোর্ডের সহ সভাপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায় বলেন, “কয়েকজন বাস মালিক পরিবহণ দফতরের বেঁধে দেওয়া সময় সীমা মানেন না। এলাকায় বেসরকারি বাসই ভরসা। পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নেব।” |
|
|
|
|
|