রাস্তা অবরোধ মথুরাপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মথুরাপুর |
বেড়া দিয়ে এক গ্রামবাসী ফুট পাঁচেক ঘিরে দেওয়ায় মথুরাপুর-১ ব্লকের লালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানিকতলা গ্রামে একটি রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে কয়েক মাস ধরে। এরই প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ওই বেড়া সরিয়ে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে গ্রামবাসীদের একাংশ বুধবার গুঁড়ি ফেলে এবং বেড়া দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। বিডিও দীপ্তার্ক বসু জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খটিরবাজার থেকে রানাঘাট মিলন বাজার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ১৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা হওয়ার কথা। সেই মতো কাজও শুরু হয়। কিন্তু চিত্রগঞ্জ গ্রাম হয়ে মানিকতলা গ্রামে ঢোকার মুখে কাজ থমকে যায়। কারণ, মানিকতলা গ্রামের বাসিন্দা জালালউদ্দিন ঘরামি ৫ ফুট এলাকা অবৈধ ভাবে ঘিরে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে বিডিও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। বেড়া খুলে দেওয়া হয়। জালালউদ্দিনের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর পরিবারের সদস্য রেহেনা ঘরামির দাবি, “ওই পাঁচ ফুট এলাকা আমাদেরই। তাই ঘিরে রাখা হয়েছে।” পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল রাজ্জাক হালদার বলেন, “সমস্যাটি আলোচনার মাধ্যমে মেটানোর চেষ্টা করছি।” রাস্তাটি হলে উপকৃত হবেন দেবীপুর, লালপুর, নিমপীঠ, মথুরাপুর পূর্ব ও পশ্চিম-সহ আশপাশের ৬-৭ গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার মানুষ। |
বিচালির গাদায় বোমা, জখম এক কিশোরী
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাসনাবাদ |
বিচালির গাদায় বল কুড়োতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হল এক কিশোরী। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের আবাদ কুলিয়াডাঙা গ্রামে। পুলিশ জানায়, শিশুটির নাম কালী বাড়ুই। তাকে বসিরহাট হাসপাতাল থেকে পরে পাঠানো হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে খেলছিল কালী। বেলা তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। দেখা যায়, বাড়ির কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বছর বারোর মেয়েটি। পুলিশ জানতে পারে, খেলার সময়ে বল চলে গিয়েছিল বিচালির গাদায়। সেখানে বল খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ ওই গাদায় লুকিয়ে রেখা একটি বোমা ফেটে যায়। জখম হয় মেয়েটি। পরে বিচালি সরিয়ে আরও কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কারা সেখানে কী উদ্দেশে বোমা রেখেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। |
পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হিঙ্গলগঞ্জে
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিঙ্গলগঞ্জ |
গুরুতর অসুস্থ অবস্থাতেও পলাশের ইচ্ছে ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সে দেবেই। সেই মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে তার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার ভোরে মারা গিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়ার বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল (১৭)। বসিরহাট মহকুমা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশের দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ডায়ালিসিস চলছিল। সেই অবস্থাতেও শচিন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে পলাশ বলে পরীক্ষা সে দেবেই। এবিএ মদনমোহন বিদ্যাপীঠের ছাত্রটির উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল দুলদুলি দেবনারায়ণ হাইস্কুলে। তার আবেদনের ভিত্তিতে সেখানে পৃথক ঘরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার এডুকেশন পরীক্ষা দিয়েছিল পলাশ। বুধবার ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা। পরীক্ষার পরে ডায়ালিসিসের জন্য কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল তার। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থতা বাড়ে। এ দিন সকালে মারা যায় ওই কিশোর। এই ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। |
দুর্ঘটনায় বালিকার মৃত্যু বাসন্তীতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
একটি যাত্রীবাহী গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বালিকার। বুধবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কালিডাঙা গ্রামে। মৃতের নাম কণিকা বাগ (১২)। তার বাড়ি ওই থানা এলাকারই হাড়ভাঙ্গি গ্রামে। কালিদঙ্গায় কণিকার মামারবাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কণিকা মামারবাড়িতে আসে। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ সে মামারবাড়ির সামনের রাস্তায় খেলছিল। সেই সময়ে দুরন্ত গতিতে আসা যাত্রীবাহী গাড়িটি তাকে ধাক্কা মেরে পালায়। গুরুতর আহত বালিকাটিকে বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে। চালক পলাতক। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |
সীমান্ত পেরোতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক হলেন তিন বাংলাদেশি। পরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের সাবেহখালিতে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বাড়ি খুলনার তিলডাঙা গ্রামে। কাজ খুঁজতে তাঁরা ভারতে এসেছিলেন। |
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বুধবার, কামারহাটিতে। মৃতের নাম বিশ্বনাথ দাস (৪২)। পুলিশ জানায়, বিশ্বনাথবাবু মোটরবাইকে ডানলপ থেকে ব্যারাকপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। গর্তে পড়ে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারালে ছিটকে পড়েন বিশ্বনাথবাবু। তখনই একটি বাস পিছন থেকে তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। |