নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
কাজের নিরাপত্তার দাবিতে বসিরহাট মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ইটিন্ডা রোডের পাশে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। অবিলম্বে চুক্তিপ্রথা বাতিল করে স্থায়ী নিয়োগ-সহ পাঁচ দফা দাবি তুলেছেন তাঁরা। বুধবার বিকেলে মহকুমাশাসক শ্যামলকুমার মণ্ডলের কাছে স্মারকলিপিও দেন বিক্ষোভকারীরা। দাবি সংশ্লিষ্ট মহলে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় স্কুলছুটদের পড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। ‘সেতু পাঠ্যক্রম শিক্ষাসেবী’ নামে ওই প্রকল্পে মাসিক আঠারোশো টাকা সাম্মানিক দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। পরে ওই সাম্মানিক বাড়িয়ে আড়াই হাজার টাকা করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লকে এই প্রকল্পে ৪২৬ জন ‘শিক্ষাসেবী’ যোগ দেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এক নির্দেশে চলতি মাসের ৩১ তারিখ কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ এমন নির্দেশের ফলে বিপাকে পড়েছেন ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার ও কাজের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সেতু পাঠ্যক্রম শিক্ষাসেবী সমিতির সভাপতি আজগার আলি সর্দার বলেন, “কাজে যোগ দেওয়ার সময়ে স্থায়ীকরণ করা হবে বলে সর্বশিক্ষা মিশন থেকে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
ওই সময়ে আমাদের আবাসিক হিসেবে রেখে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। হঠাৎ করে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ আসায় আমরা কার্যত জলে পড়েছি।” বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সম্পাদক মেকাইল আলম। তিনি বলেন, “পড়াশোনা শিখে এই বয়সে যদি হঠাৎ কাজ হারাতে হয়, তা হলে অনেকেরই পরিবার পথে বসবে।” |