একশোতম দেখতে না পেয়ে হতাশ সহবাগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তাঁর হিসাবটা খুব সহজ। যত দিন ক্রিকেট খেলে আনন্দ পাওয়া যাচ্ছে, রান আসছে, তত দিন খেলে যাও। যখন আর আনন্দ পাওয়া যাচ্ছে না, তখনই অবসর নেওয়ার সঠিক সময়। এর মধ্যে বয়স কোনও ভাবেই আসছে না। অন্তত বীরেন্দ্র সহবাগ এ ভাবেই দেখেন গোটা ব্যাপারটাকে।
আজ তাঁর আইপিএল দল দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সহবাগ। ওঠে রাহুল দ্রাবিড় প্রসঙ্গ। তখনই সহবাগ বলেন, “মনে রাখবেন ৪০ বছর বয়সের পরও সনৎ জয়সূর্য খেলা চালিয়ে গিয়েছে। তাই বয়সটা ব্যাপার নয়। যত দিন ক্রিকেটাররা রান পাবে এবং খেলে আনন্দ পাবে তত দিন খেলবে। এবং নিজেরাই ঠিক করবে কবে অবসর নেবে।”
উঠে আসে সচিন তেন্ডুলকরের একশো সেঞ্চুরির প্রসঙ্গও। মাঠে থেকে সেই কীর্তি দেখতে না পারার দুঃখটা ভুলতে পারছেন না সহবাগ। বলছিলেন, “সচিনের একশোতম সেঞ্চুরিটার সময় আমি দলে না থাকায় খুব খারাপ লাগছে। ওটা আমি ভীষণ ভাবে মিস করেছি।”
এশিয়া কাপে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও পরে ভারতীয় ওপেনার বলছিলেন, “আমরা কিন্তু এই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানকে হারিয়েছি। তবে বাংলাদেশ দুর্দান্ত সব অঘটন ঘটাচ্ছে। ফাইনালেও সে রকম কিছু করার ক্ষমতা ওদের আছে।” কিন্তু ভারতের এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা নিয়ে কী বলবেন? সহবাগের জবাব, “এ রকম দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে কিন্তু ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকেও যেতে হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এটা কেটে যাবে।” ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন তারকা বিরাট কোহলিকে নিয়েও মুখ খুলেছেন সহবাগ। বলেছেন, “খুব প্রতিভাবান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৮৩ রানের ইনিংসটা তো অসাধারণ।”
আগামী মাসেই শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএল। আর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক সহবাগ তাঁর টিম নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর কথায়, “আমাদের দলটা ভাল হয়েছে। কেভিন পিটারসেন, মাহেলা জয়বর্ধনে, রস টেলর, ব্রেসওয়েলের মতো ক্রিকেটার রয়েছে। তেমনই উমেশ যাদব, বরুণ অ্যারন, ইরফান পাঠানের মতো ভারতীয় দলের বোলাররাও আছে। এ বছর আমাদের প্রথম লক্ষ্য হল প্লে-অফ রাউন্ডে ওঠা। তারপর অন্য কিছু নিয়ে ভাবব।” পিঠের ব্যথা সারিয়ে তিনি যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন, সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন সহবাগ। |