পুলিশকর্মীদের মারধর করে হুগলির গোঘাটের গ্রাম থেকে পুরনো একটি মামলায় ধৃত এক দলীয় নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে গোঘাটের আসুথখোলা গ্রামে ১০০ দিনের প্রকল্পে খাল সংস্কার চলছিল। সেখানে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ (লালু)। সুশান্তবাবু ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে পার্বতীপুর গ্রামের মণিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে গত ৩ মার্চ রাস্তা থেকে দলীয় কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ এ দিন সুশান্তবাবুকে ধরে। তার পরে ওই কাণ্ড হয়। পুলিশের গাড়ির উপরেও ‘হামলা’ হয়। পুলিশ ১৫ জনকে গ্রেফতার করলেও রাত পর্যন্ত সুশান্তবাবুকে ধরতে পারেনি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, “সুশান্তবাবু দলের কেউ নন। পুলিশের উপরে হামলাকারীরাও আমাদের কর্মী-সমর্থক নয়। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে ঠিক কাজই করেছে।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল রায় বলেছেন, “সুশান্তবাবু কুমারগঞ্জ অঞ্চলে আমাদের দলের যুব নেতা।”
আরামবাগ থানার দুই সাব-ইনস্পেক্টর এবং চার কনস্টেবল এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ আসুথখোলা গ্রামে যান। তাঁরা সুশান্তবাবুকে ধরতেই শ্রমিকদের একাংশ, যাঁরা তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত, পুলিশকর্মীদের মারধর ও হেনস্থা করে সুশান্তবাবুকে ছাড়িয়ে নেন বলে অভিযোগ। পুলিশকর্মীদের ঘেরাও করে ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভও চলে। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। প্রহৃত পুলিশকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় কামারপুকুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁদের ২০ জন জখম হন। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “পুলিশকর্মীদের মারধর করে ধৃত এক জনকে ছিনিয়ে নেয় কিছু লোক। তদন্ত ও তল্লাশি চলছে।” |