|
|
|
|
দায়িত্ব সিবিআইকে |
বিহার-নেপাল করিডরে জাল নোট পাচার রুখতে উদ্যোগ |
স্বপন সরকার • পটনা |
জাল নোট পাচারের ক্ষেত্রে কুখ্যাত ‘বিহার-নেপাল করিডর’-এ নজরদারি তদারকির জন্য একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)। স্থির হয়েছে, বিহার পুলিশ এবং ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই নজরদারি চালানো হবে।
ভারত-নেপাল সীমান্তের দীর্ঘতম অংশ বিহারেই পড়ছে। আরও নির্দিষ্ট করে, মূলত উত্তর বিহারের আটটি জেলার মধ্যে দিয়ে ভারতে ঢোকানো হয় জালনোট। জেলাগুলি হল: মধুবনী, সীতামঢ়ী, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ, পূর্ণিয়া এবং সুফল। এই আটটি জেলায় বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে সিবিআইয়ের একজন করে অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সিবিআই-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য। এই ঘটনার কথা জানিয়ে এডিজি (হেড কোয়ার্টার) রবিন্দর কুমার বলেন, “জাল নোটের মামলা সংক্রান্ত বিষয়টি সিবিআই-এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে রাজ্য পুলিশকে কাজ করতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এর সাহায্যে জাল নোটের কারবারিদের চিহ্নিত করা যাবে।”
জাল নোট রুখতে সিবিআই এ ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল নোটের মামলা সংক্রান্ত খবর সিবিআইকে দেবে জেলা পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বছর ডিসেম্বরে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছিল জাল নোটের বিষয়টি সিবিআইকে জানানোর জন্য। তাতে তদন্ত করতে সুবিধা যেমন হবে, পাশাপাশি তদন্তের ক্ষেত্রে সময়ও বাঁচবে। কিন্তু বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারে বলে রাজ্যের তরফে সেই সময় আপত্তি তোলা হয়। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র কয়েক দফা আলোচনার পরেই ঠিক হয়, ডিআরআই এবং রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী সিবিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। ঠিক হয়, তদন্ত পর্বের শেষে আদালতে মামলাগুলির তদারকি জেলা পুলিশই করবে।
রাজ্যের কাছে সব থেকে বড় সমস্যা নেপাল-সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে নিয়ে। নেপাল সংলগ্ন রাজ্য হওয়ায় বিহারে জাল নোটের রমরমা। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র শেষ পর্যন্ত সিবিআইকে এই দায়িত্ব দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে চাইছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৬ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। বিহারে জাল নোটের রমরমা শুধু যে রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে তাই নয়, এই রাস্তা দিয়ে ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলা এবং ওড়িশার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তা ছড়িয়ে পড়ছে। |
|
|
|
|
|