|
|
|
|
মমতা-লাইনেই চলবে রেল, স্পষ্ট বললেন মুকুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দলনেত্রীর পথই যে তাঁর পথ, তা প্রথম দিন রেল মন্ত্রকে এসেই বুঝিয়ে দিলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মুকুল রায়।
আজ তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশের আগেই রেলমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট টেবিল ফিরে এল পুরানো অবস্থানে। দশ মাস আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ঘরের যেখানে টেবিলটি পাতা থাকত, দায়িত্ব পেয়েই সেটি সরিয়ে নিয়েছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। আজ সেই টেবিল ফিরে এসেছে যথাস্থানে। মুকুলবাবুর বক্তব্য, “আমি শুধু এই সামান্য পরিবর্তনটুকুই চেয়েছিলাম।” তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়ে রেলে স্বর্ণযুগ ছিল। আবার যাতে রেল সেই সুসময়ে ফিরতে পারে, সেটাই হবে আমার লক্ষ্য।”
রেল বাজেট নিয়ে সংসদে বিতর্কে অবশ্য রেলের খারাপ আর্থিক স্বাস্থ্যের প্রশ্নে সমালোচনা করতে ছাড়েননি বিভিন্ন দলের সাংসদরা। সাংসদদের বক্তব্যের মূল নির্যাসই ছিল, মন্ত্রকের আর্থিক হাল একেবারে ভেঙে পড়েছে। যা ঠিক করতে রেলমন্ত্রীকে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। আজ নতুন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রায় একই ধাঁচের দাবি জানান রেলের পাঁচ কর্মী সংগঠনের নেতারা। সংগঠনগুলির পক্ষে যৌথ ভাবে মুকুলবাবুর কাছে বাড়তি ভাড়া প্রত্যাহারের বিরোধিতা জানানো হয়। যদিও ভাড়া সম্পূর্ণ না আংশিক প্রত্যাহার হতে পারে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “কাল জবাবি ভাষণ রয়েছে। তার আগে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
দীনেশ ত্রিবেদী বাজেট পেশ করার পরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে ঘরোয়া মহলে মন্তব্য করেছিল। কিন্তু বিতর্কের সময় কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপি কিংবা বাম-সপা সাংসদদের সকলেই নিম্ন শ্রেণিতে যাত্রিভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ভাড়া বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত দীনেশ নিয়েছিলেন, তার কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদরা। আয় বাড়াতে যে বিকল্প নীতি মমতা নিয়েছিলেন, আজ সেগুলি ফের বলেন তৃণমূল সাংসদরা। আয় বাড়াতে বিজ্ঞাপন, রেলের জমিকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার, পিপিপি মডেলের সফল প্রয়োগ এগুলি ছিল তার অন্যতম। |
|
|
|
|
|