|
|
|
|
চাইছে সঙ্ঘ, বিজেপি ফেরাবে ইয়েদুরাপ্পাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সঙ্ঘের নির্দেশ, অবিলম্বে মেটাতে হবে কর্নাটক সঙ্কট। মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফেরাতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে। কিন্তু সুষমা স্বরাজ, অনন্ত কুমারের মতো নেতারা এখনও ইয়েদুরাপ্পার চাপের রাজনীতির কাছে মাথা নোয়াতে রাজি নন। সুষমার দাবি, দলের কোর গ্রুপ বা সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কট্টর ইয়েদুরাপ্পা-বিরোধীরা এখন সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের জন্য আটঘাট বাঁধলেও সঙ্ঘ তার অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। খুব ‘দ্রুত’ বৈঠক ডেকে সুষমা-অনন্তদের বিরোধিতার কাঁটা দূর করতে চাইছেন তিনি। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর আজ বলেই দিয়েছেন, “বড় জোর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে। রাজ্যে বাজেট অধিবেশন মেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হতে পারে।”
দুর্নীতির অভিযোগ থেকে হাইকোর্ট রেহাই দেওয়ার পর থেকেই গদি ফিরে পেতে নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়িয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার বাজেট অধিবেশন বয়কট করে জনা ষাটেক অনুগামী বিধায়ককে নিয়ে বেঙ্গালুরুর এক রিসর্টে ছিলেন তিনি। আরএসএস-প্রধান মোহন ভাগবত কাল নাগপুরে গডকড়ীর সঙ্গে বৈঠকে কর্নাটক নিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানানোর পরই আরও তৎপর হয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। কালই দিল্লিতে এসে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। তৎপরতা দলেও। আইনজীবী সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ ইয়েদুরাপ্পার মামলাগুলিও খতিয়ে দেখছেন। আজ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে জেটলি জানান, ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে কোনও মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেলেও ধোপে টিকবে না। ইয়েদুরাপ্পার ক্ষমতায় ফেরা তাই সময়ের অপেক্ষা।
কর্নাটকে ইয়েদুরাপ্পার সমর্থন ছাড়া যে দলের পক্ষে ভোটে জেতা অসম্ভব আজ তা প্রমাণিত হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর গড়েই। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সদানন্দ যে কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন, সেখানেই উপনির্বাচনে বিজেপি হেরেছে ইয়েদুরাপ্পার সমর্থকরা তেমন ভাবে ময়দানে না নামায়। ইয়েদুরাপ্পা আজ এটা প্রমাণ করলেন, তাঁর সমর্থন ছাড়া বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর অস্তিত্বই নেই। কর্নাটক থেকে ১২ জন সাংসদও ইয়েদুরাপ্পার পিছনে। দু’দিন আগেই সুষমা স্বরাজের কাছে গিয়ে তাঁরা ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভার বিরোধী দলনেত্রীর উপর চাপ বাড়ানোর পিছনে কাজ করেছে গডকড়ী-জেটলিদের সমর্থন। |
|
|
|
|
|