|
|
|
|
অশ্লীল ছবি বিতর্ক এ বার মোদী-রাজ্যে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কর্নাটকের অশ্লীল ছবি-কাণ্ডের রেশ কাটার আগেই নরেন্দ্র মোদীর খাস তালুকে নতুন বিতর্ক! গতকাল দলের দুই বিধায়ক শঙ্কর চৌধুরি এবং যেথা ভারওয়ার বিধানসভায় বসে আইপ্যাডে অশ্লীল ছবি দেখেছেন বলে অভিযোগ। আজই রাজ্যের উপ-নির্বাচনে মোদীর হার হয়েছে। তার উপরে আবার এই অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম চলল সারা দিন! মাসখানেকও হয়নি, বিজেপি-শাসিত কর্নাটকেই তিন বিজেপি বিধায়ক বিধানসভায় বসে মোবাইলে অশ্লীল ছবি দেখার দায়ে ধরা পড়েছিলেন।
এ বছরের শেষে রাজ্যে ভোট। তার আগে মোদী-রাজ্যে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কী করে হাতছাড়া করে কংগ্রেস? আমদাবাদ থেকে দিল্লি কংগ্রেস নেতারা তাই সরব। বিজেপি শিবিরকে কটাক্ষ করে তাঁদের প্রশ্ন, “বারবার বিজেপি রাজ্যেই কেন বিজেপি নেতারা বিধানসভায় অশ্লীল ছবি-কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন?” দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা রশিদ অলভির উক্তি, “কর্নাটকে বিজেপি বিধায়করা যখন অশ্লীল ছবি দেখলেন, তার পরেও দল কঠোর পদক্ষেপ করেনি। বিজেপি নেতারা তাই বুঝে ফেলেছেন, তাঁদের দলে এ সব চলে। আমরা এখন তৃতীয় রাজ্যে আর একটি ঘটনার জন্য অপেক্ষা করছি।”
কর্নাটকের মতো বিজেপি নেতৃত্ব এ বারও এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তবে কর্নাটকে সিসিটিভিতে ওঠা ছবিতে অশ্লীল ছবি দেখার প্রমাণ মিললেও গুজরাতে তাঁদের অস্ত্র, এ বার এক সাংবাদিক তাঁর মোবাইলে ছবি তুললেও তা পরিষ্কার নয়। মোদীর ঘনিষ্ঠ নেতা পুরুষোত্তম রূপালা বলেন, “যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রমাণই নেই। সংসদে বসে আমরাও তো আইপ্যাডে তথ্য ঘাঁটি। বক্তৃতা সেখানেই লিখে আনি। কিছু খুঁজতে গিয়ে যদি ফাঁকতালে অশ্লীল ছবি বেরিয়ে পড়ে আর তা ক্যামেরা বন্দি হয়, তার মানে কি সেটিকে প্রশ্রয় দিচ্ছি?”
গুজরাতে ওই বিধায়করা অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি নিজেদের আইপ্যাডগুলো বিধানসভার স্পিকারের কাছে তদন্তের জন্য জমাও দেন। কিন্তু যে সাংবাদিক এই অভিযোগ করেছেন, তাঁর দাবি মোবাইলে তোলা ছবি স্পষ্ট না হলেও অশ্লীল ছবিই দেখছিলেন বিধায়করা। বিজেপির এক নেতার দাবি, “ওয়েব দুনিয়ায় হাজারো তথ্য ও ছবি থাকে। ‘সানি গাওস্কর’ খুঁজতে গেলেও প্রথমে পর্নস্টার ‘সানি লিওন’ বেরিয়ে পড়বে। সে জন্য দোষারোপ করে লাভ কী?”
তবে কংগ্রেস যতই এই বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হোক, মনে মনে তাদেরও ‘ভয়’ রয়েছে। এক নেতা মজা করে বলেন, “এ ধরনের সুপ্ত বাসনা তো স্বাভাবিক প্রবণতা। ফলে যে কোনও সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। তবে জনসমক্ষে বিশেষ করে সংসদে বা বিধানসভায় এই প্রবণতা এড়ানো উচিত।”
সেন্ট্রাল হলে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা আবার কংগ্রেসের এক নেতাকে বলেছেন, “আপনারা কি নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির কীর্তি ভুলে গেলেন? রাজভবনে তিনি যা করেছিলেন, তার সিডি তো ঘরে ঘরে। আর রাজস্থানে আপনাদের মহিপাল মাদরেনা অশ্লীল কাণ্ড ঘটিয়ে খুনও করেছেন তিনি।” |
|
|
|
|
|