|
|
|
|
বালককে ছাদ থেকে ফেলে দিল ডাকাতরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বাড়িতে ডাকাত পড়েছে দেখে আতঙ্কে ছাদে উঠে এসেছিল দশ বছরের ছেলে ঋতিক। ছাদ থেকে চিৎকার করে পাড়া-প্রতিবেশীকে ডাকছিল। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ডাকাত দলের লোকজন ছাদ থেকে তলায় ছুড়ে ফেলে দেয় ঋতিককে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ছেলেটি। ডাকাত দলের আক্রমণে জখম হয়েছেন ঋতিকের মা-ও। কাল রাতে ডাকাতির এই ঘটনাটি ঘটে বিহারে বেগুসরাই জেলার সদর থানা এলাকার মহম্মদপুর এলাকায়। এই ডাকাত দলটিই রাতেই আরও একটি বাড়িতে লুঠপাট চালায়। সেখানেও দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হন পাঁচজন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দুঃসাহসিক এমন জোড়া ডাকাতির প্রতিবাদে এলাকার ক্ষুব্ধ মানুষজন আজ সকালে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরোধ করেন।
পুলিশ জানায়, যে দু’টি বাড়িতে কাল ডাকাত পড়ে সেই দুই বাড়ির মালিকই পেশায় ব্যবসায়ী। প্রথমজন রাজেশ মাহাতো, দ্বিতীয় জন অনিল সিংহ। কাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জনা বারো দুষ্কৃতী হানা দেয় রাজেশবাবুর বাড়িতে। কর্মসূত্রে রাজেশ রাজস্থানে থাকেন। বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে ছিলেন রাজেশের স্ত্রী। ডাকাতরা প্রথমে বাড়ির বাইরে ভাঙচুর চালিয়ে তারপর ঘরে ঢুকে লুঠপাট চালাতে থাকে। ওই সময় রাজেশবাবুর দশ বছরের ছেলে ঋতিক দৌড়ে বাড়ির ছাদে উঠে লোকজন ডাকার চেষ্টা করে। বিপদ বুঝে ডাকাতদের কয়েকজনও উঠে আসে ছাদে। ছেলেটিকে তলায় ছুড়ে ফেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তার। এরপর অবাধে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত দল।
কাল রাত দেড়টা নাগাদ ওই দলটিই মহম্মদপুর থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে লোহিয়ানগর এলাকায় অনিল সিংহ নামে আর এক ব্যবসা্য়ীর বাড়িতেও লুঠপাট ও ভাঙচুর চালায়। তাদের হামলায় জখম হয়েছেন পাঁচ জন। এসডিপিও (সদর) বিবেকানন্দ আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ডাকাতির ধরন দেখে মনে করা হচ্ছে দু’টি ডাকাতিই করেছে একই দলের লোক। এসডিপিও (সদর) বলেন, “গ্রামের কেউ কেউ বলছেন বেখেয়াল হয়ে ছেলেটি নিজেই ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল মা-ই বলতে পারবেন। পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেই তদন্ত চালাবে পুলিশ। রাজেশবাবুকে খবর দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|