স্বর্ণশিল্প ধর্মঘট আরও দীর্ঘায়িত হল রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি ও বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্প সমিতি রবিবার পর্যন্ত ধর্মঘট চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা চলার কথা ছিল শুক্রবার পর্যন্ত। তবে অতিরিক্ত দু’দিনের ওই ধর্মঘট হবে মূলত পশ্চিমবঙ্গে, দেশ জুড়ে নয়। অবশ্য স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে জানান, “বাড়তি দু’দিনের ধর্মঘটে দিল্লির স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও সামিল হওয়ার কথা জানিয়েছেন।” অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনও এই ধর্মঘট সমর্থন করছে, জানান চেয়ারম্যান বাচরাজ বামালুয়া। |
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে চায় স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি ও বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্প সমিতি। বাবলুবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে সময় চাইব। সময় না-দিলে মিছিল করে মহাকরণে তা জমা দিতে যাব।” বুধবারও প্রতিবাদ হিসেবে বৌবাজারে ধর্নায় বসেন দু’হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কারিগর। বাবলুবাবু জানান, “আন্দোলন চলবে। কারণ স্বর্ণশিল্পে প্রস্তাবিত কর বসলে এই শিল্পের অস্তিত্বই সংকটে পড়বে।”
পশ্চিমবঙ্গের মতো বাড়তি দু’দিন ধর্মঘট না-করলেও, মিছিল ধর্না ইত্যাদি আন্দোলনের কর্মসূচি চলবে অন্যান্য রাজ্যে। বাজেটে নতুন করা বসা ও বৃদ্ধির জেরে সমস্যা বাড়তে পারে কারিগরদের। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দার বলেন, “গয়নার ওজনের উপর নির্ভর করে কারিগরদের মজুরি। তাই চাহিদা কমলে তাঁদের আয় কমবে।” আমদানিতে শুল্ক দ্বিগুণ হওয়ায় চোরাপথে সোনা আসা ফের শুরু হবে বলে আশঙ্কা অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের পরিচালন পর্ষদের ডিরেক্টর হর্ষদ আজমেরা-র। এ দিকে, পিটিআইয়ের খবর, এখন থেকে সোনার গয়নার মূল্যের ৬০% পর্যন্তই ঋণ হিসেবে দিতে পারবে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। এই মর্মে নির্দেশ জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। |