অবশেষে টেক মহীন্দ্রার সঙ্গে মিশে গেল মহীন্দ্রা সত্যম।
বুধবার এই সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হল দুই সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে। এর ফলে দেশের পঞ্চম বৃহত্তম সফটওয়্যার রফতানি সংস্থা হল টেক মহীন্দ্রা। কর্মী সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ হাজারের বেশি। সম্মিলিত আয়ের অঙ্ক ছুঁল ২৪০ কোটি ডলার। আর সেই সঙ্গে সাড়ে তিনশো ছাড়াল বরাত দেওয়া ক্রেতা সংস্থার (ক্লায়েন্ট) সংখ্যা। যারা ছড়িয়ে রয়েছে ৫৪টি দেশে। আনুষ্ঠানিক ভাবে অবশ্য মিলনের এই প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে আরও ৮-৯ মাস। |
এ দিন এক বিবৃতিতে সংস্থা জানিয়েছে, সংযুক্তিকরণের জন্য দুই সংস্থার শেয়ার বিনিময়ের নির্ধারিত হার ১৭:২। অর্থাৎ, মহীন্দ্রা সত্যমের ১৭টি শেয়ারের বদলে পাওয়া যাবে টেক মহীন্দ্রার দু’টি শেয়ার। প্রতি সাড়ে ৮টি পিছু একটি।
২০০৯-এর জানুয়ারির গোড়ায় সত্যম কম্পিউটারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন কর্ণধার রামলিঙ্গ রাজুর বিস্ফোরক ই-মেল স্বীকারোক্তির পরই সামনে আসে সত্যম কাণ্ড। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার ওই আর্থিক জালিয়াতিই এখনও পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম কর্পোরেট কেলেঙ্কারি। যার পরে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই ডুবতে বসেছিল সত্যম। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিলামের পথে হেঁটে তা বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত ২০০৯-এর এপ্রিলে নিলামে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছিটকে দিয়ে সত্যমের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় টেক মহীন্দ্রা। শেয়ার পিছু ৫৮ টাকা হিসাবে ২,৮৮৯ কোটি টাকায় কিনে নেয় সত্যমের ৫১% মালিকানা। সত্যম কম্পিউটারের নতুন নাম হয় মহীন্দ্রা সত্যম। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই প্রক্রিয়ারই স্বাভাবিক পরিণতি এই সংযুক্তিকরণ। তা ছাড়া, পরে দুই সংস্থা যে মিশবে, গোড়া থেকেই তা বলে এসেছে টেক মহীন্দ্রাও। এ দিন ঘোষণার পর দুই সংস্থার শেয়ার দর বাড়ে ৬% পর্যন্ত।।” |