|
|
|
|
আলোচনায় জট কাটল নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
পুলিশ-প্রশাসনের নির্দেশে অবশেষে আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক-মালিক সংঘাতের বিরোধ ঘটল নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায়। মঙ্গলবার নলহাটি থানায় আন্দোলনকারীরা পাথর বোঝাই শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক হয় মালিক সমিতির। সেখানে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে নলহাটি পাথরশিল্পাঞ্চল এলাকায় জট কাটে। মাস তিনেক আগে বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলে ১২০টি ক্রাশারে আইএনটিউসি ও টিইউসিসির মোট ৭২০ জন শ্রমিকের সঙ্গে পাথর বোঝাই করা নিয়ে বিরোধ বেধেছিল। শ্রমিকদের দাবি ছিল- মালিক পক্ষ যন্ত্র দিয়ে পাথর বোঝাই করছে। ফলে শ্রমিকেরা কাজ পাচ্ছেন না। এর পরে ওই এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। ফলে পাথর বোঝাই গাড়ি শিল্পাঞ্চলে ঢুকতে পারছিল না। বুধবার সকাল থেকে ওই শিল্পাঞ্চলে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়। শ্রমিকদের পক্ষে আইএনটিউসি নেতা আনোয়ার শেখ, টিউসিসি নেতা আকবর শেখ বলেন, “আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল। সেই মতো ওই দিন ২০১০ সালে ৮ দফা চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। আশ্বাস পাওয়ার পরে আন্দোলন থেকে সরে আসি। তবে দাবি কার্যকর না হলে ফের আন্দোলনে নামব।” মালিক সমিতির তিনটি সংগঠনের সদস্যরা জানান, ২০১০ সালে ২৬ জুন রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল, সেটা কার্যকর করা হবে। প্রশাসনের বিশেষত মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের আশ্বাসে তাঁরা এই চুক্তি মেনে নিয়েছেন। চুক্তি মেনে চলার জন্য একটি মনিটারিং টিম করা হয়েছে। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভদেশ পাঠক বলেন, “ক্রাশার শিল্প চালু না থাকলে সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি মালিক পক্ষ ও শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে দ্বন্দ্ব ছিল, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় কাজ চালু রাখতে গেলে মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগিতা দরকার।” |
|
|
|
|
|