প্রৌঢ়া বিজলি দাসের (৫৩) খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবিতে বুধবার সন্ধ্যায় থানায় বিক্ষোভ দেখালেন কাটোয়ার কাছারিপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকে। পুলিশের অবশ্য দাবি, তদন্ত ঠিক পথেই চলছে। দ্রুত খুনিকে ধরা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বিজলিদেবীর বাড়িতে এ দিন ছিল নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠান। কিন্তু বিকেলের পরে তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ বাড়িতে তালা লাগিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়েই অন্যত্র চলে গিয়েছেন বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। এতে খুনিকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। |
গত শুক্রবার রাতে বাড়ির দোতলার ঘর থেকে বিজলিদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁকে ওই অবস্থায় প্রথম দেখেন তাঁর জামাই মিঠু মণ্ডল। আর যে ঘরে বিজলিদেবীর মৃতদেহ মেলে তার ঠিক পাশের ঘরেই তখন শুয়ে ছিলেন তাঁর দেওর অশোক দাস। এছাড়া প্রৌঢ়ার ছেলে সন্দীপবাবু এবং আরও অনেককে জেরা করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার কিনারা হয়নি।
মৃতদেহের গলায় ছিল একটি কাপড়ের ফাঁস। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে ৯টার মধ্যে বিছানার উপরে শ্বাসরোধ করে বিজলিদেবীকে খুন করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রৌঢ়ার মাথার পিছনে আঘাত ছিল। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিল স্পষ্ট ধ্বস্তাধ্বস্তির চিহ্ন। পুলিশের ধারণা, পরিবারের কোনও সদস্যই জড়িত এই খুনে। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। |