দুই সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও কমল গায়েন খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ ধৃতকে আরও ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ওই ছ’জনের মধ্যে চার জন ঘটনার দিন সিপিএম কর্মী রূপকুমার গুপ্তকে মারধরের ঘটনাতেও অভিযুক্ত। ওই মামলায় চার জনকে এ দিন জামিন দিয়েছে আদালত।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে খুন হন প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা ও সিপিএমের জোনাল সদস্য কমল গায়েন। ওই ঘটনার আগে দু’পক্ষের বিবাদে জখম হন তৃণমূল কর্মী বিদ্যুৎবরণ হাজরা ও সিপিএম কর্মী রূপকুমার গুপ্ত। বিদ্যুৎবাবু বর্ধমান থানায় সিপিএম নেতা প্রদীপ তা, তাঁর ভাই প্রবীর তা, রূপকুমার গুপ্ত ও পীযূষ তা-র নামে অভিযোগ করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা হয়, যা জামিন অযোগ্য। রূপকুমার গুপ্তকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর মা প্রতিমা গুপ্ত। তিনি মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রথমে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা হয়। |
দুই সিপিএম নেতা খুনের পরে প্রদীপবাবুর ভাই প্রবীরবাবু ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁদের মধ্যে পতিতপাবন তা, সুরজিৎ তা, ছোটন চক্রবর্তী ও গোপাল গোস্বামীকে ঘটনার দিনই গ্রেফতার করে পুলিশ। পতিতপাবনবাবু, সুরজিৎবাবু ও ছোটনবাবু রূপকুমার গুপ্তকে মারধরেও অভিযুক্ত। ওই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত উদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন গুপ্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়ে যান। তবে পরে পুলিশ এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩০৮ ধারা জুড়ে দেয়।
পরে ওই জোড়া খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নবকুমার রায় ও মন্টু ঘোষকে গ্রেফতার করে সিআইডি। মন্টুবাবু আবার মারধরের ঘটনাতেও অভিযুক্ত। এ দিন এই মামলায় পতিতপাবনবাবু, সুরজিৎবাবু, ছোটনবাবু ও মন্টুবাবুর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্ত ৬ জনকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিজেএম ইয়াসমিন আহমেদ।
অভিযুক্তদের আইনজীবী সদন তা ও বিশ্বজিৎ দাস আদালতে দাবি করেন, রূপকুমার গুপ্তের ‘ইনজুরি রিপোর্টে’ যে বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, তাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৮ ধারা প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়। মারধরের মামলায় আদালত চার জনকে জামিন দেয়। তবে খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁদের জেল হাজতেই থাকতে হচ্ছে। |