পুরভবনে সিসিটিভি বসাতে উদ্যোগী হল কালনা পুরসভা। সম্প্রতি কাউন্সিলর বোর্ডের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
উপ-পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ জানান, দিন সাতেকের মধ্যে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে। ব্যয় হবে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, এর ফলে কোনও অপরাধমূলক কাজের ক্ষেত্রে যেমন ‘ফুটেজ’ পাওয়া যাবে, কর্মীরা ঠিক মতো কাজ করছেন কি না, সেই নজরদারিও চালানো যাবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরভবনের বর্তমানে স্থায়ী কর্মীসংখ্যা ১৪২। তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, জঞ্জাল পরিষ্কার, কর আদায়, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণ-সহ বিভিন্ন দফতরে মোট কর্মীর সংখ্যা ৯৮। |
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মীদের একাংশের কাজে ফাঁকি দেওয়ার বদ অভ্যাস রয়েছে। দফতরে নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাঁদের কাজের গতি অত্যন্ত শ্লথ। ব্যক্তিগত কাজ সারতে যখন তখন অফিস থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। অনেকে আবার নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসেন না। এমনকী বিভিন্ন দফতরে মাঝেমধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে। সেই চুরির সঙ্গে বিভাগের কর্মীরাও যে জড়িত থাকছেন না তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, কর্তৃপক্ষ জানান, ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে ওই পুরসভার আওতায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে সব সময়ে সহযোগিতা করেন না, উল্টে দুর্ব্যবহার করেন। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মীদের কাজে ফাঁকি দেওয়া বা অসহযোগিতার কারণে সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সিসিটিভি বসালে তাও নিশ্চিত হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে মোট ১৬টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। মনিটরিং স্ক্রিন থাকবে উপ-পুরপ্রধানের ঘরে। সেখান থেকেই পুরসভার কাজকর্ম সঠিক ভাবে চলছে কি না, তা সরেজমিন তদন্ত করবেন তিনি।
উপপ্রধান দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “ফুটেজে কর্মীদের কাজের ত্রুটি পেলে তাদের ডেকে প্রথমে মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হবে।” কিন্তু একই ভুল বারবার হলে কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। |