ধর্ষণ নিয়ে মমতা ক্ষমা চান, মহিলা জোটের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পার্ক স্ট্রিট ও কাটোয়ার ধর্ষণের ঘটনা ‘সাজানো’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে রাজ্যের কয়েকটি মহিলা সংগঠনের জোট। তাদের অভিযোগ, পার্ক স্ট্রিটের ঘটনায় পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র ধর্ষিতার প্রতি অপমানজনক উক্তি করেছেন। সেই জন্য তাঁকেও ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে তারা। ৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিটে গাড়ির মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ওটা ‘সাজানো’ ঘটনা। ওই মাসেরই ২৫ তারিখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে কাটোয়ায়। তার পরেও একই ধরনের মন্তব্য করেন মমতা। তাঁর সেই উক্তি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সব মহলেই। রাজ্যে পরপর ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মহিলা সংগঠনগুলি মেয়েদের নিরাপত্তা চেয়ে ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। তার পরেই তাঁর মন্তব্যের জন্য সোমবার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় তারা। সেই সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি এবং মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে কলেজ স্ট্রিট থেকে রানি রাসমণি রোড পর্যন্ত মিছিল করে মহিলাদের ওই জোট। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যার দিক থেকে দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দেশে ৪ বছরে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ১৫%। পশ্চিমবঙ্গে সেই বৃদ্ধির হার ৩৪%। যে-সব রাজ্যে ধর্ষণের জন্য সব চেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় রাজ্যর স্থান দ্বিতীয়। এই পরিসংখ্যান সামনে রেখেই দোষীদের শাস্তি ও মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছে নারী সংগঠনগুলির জোট।
|
গরহাজিরায় বেতন কাটা চলবে না, সরব জুটা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার ধর্মঘটের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গরহাজির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন কাটার যে-নির্দেশ জারি করেছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘জুটা’। এই দাবিতে আজ, মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে স্মারকলিপি দেবে ওই সংগঠন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উপরে সরকারি নির্দেশিকা চাপানোয় ক্ষুব্ধ জুটার সদস্যেরা আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছেও যাবে তারা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে অনুপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের শো-কজ করে তাঁদের অনুপস্থিতির কারণ বিচার করে প্রয়োজনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত। তাদের নিজস্ব আইন-বিধি অনুযায়ী ছুটির বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এর উপরে রাজ্য সরকার কী করে কিছু চাপিয়ে দিতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস সোমবার বলেন, “এ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনের অবমাননা করা হচ্ছে। তা ছাড়া নতুন আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি-র পক্ষেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে রাজ্য সরকার কী ভাবে এ-সব করছে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না! ধর্মঘটে সামিল হওয়ার বা না-হওয়ার অধিকার তো সকলেরই আছে।” একই কারণে অন্য একটি শিক্ষক সংগঠন ‘আবুটা’-ও ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। |