খুব ছোটবেলায় এয়ার-গান হাতে পাখি শিকারে নেমে শেষমেশ চড়াইয়ের প্রেমে পড়েছিলেন সালিম আলি। তারপর তাঁর জীবনের মোড় পাল্টে যায়। সালিম আলি হয়ে ওঠেন প্রবাদপ্রতিম পক্ষীবিশারদ। বাইবেলেও উল্লেখ রয়েছে খুদে এই পাখিটির। ওয়ার্ডসওয়ার্থ, লরেন্স ডানবার বা লংফেলোর কবিতাতেও ঠাঁই করে নিয়েছে চড়াই। আর এহেন চড়াই মন কেড়েছে অচিন্ত্য মারিকেরও।
মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা অচিন্ত্যবাবু। ছোটবেলায় বাড়ির আলসেতে চড়াইয়ের বাসা খুঁচিয়ে ভাঙা থেকে ডিম নষ্ট, সবই করেছেন। তারপর ধীরে ধীরে ভালবেসে ফেলেছেন এই ছোট্ট পাখিটিকে। এতটাই যে, তার সম্পাদনায় প্রকাশিত সাময়িকী ‘অমিত্রাক্ষর’-এর প্রথম সংখ্যাটি হল ‘চড়াই সংখ্যা’। প্রসঙ্গত, আজ, ২০ মার্চ বিশ্ব চড়াই দিবস। |
যাণ্মাষিক পত্রিকাটির বিশেষ এই চড়াই সংখ্যায় বাঙালির অতি পরিচিত পাখিটিকে নিয়ে রয়েছে প্রবন্ধ, কবিতা, সঙ্গে নানা তথ্য। চড়াইয়ের প্রায় ২৪টি জাতি। বিশ্বে কোথায়, কী প্রজাতির দেখা মেলে, তাদের বৈশিষ্ট্য কী সবই রয়েছে কথায় ও ছবিতে। সঙ্গে ওয়ার্ডসওয়ার্থ, লরেন্স ডানবার, লংফেলো, চার্লস বুকোভস্কির কবিতার অনুবাদ। অমলকান্তি চক্রবর্তীর অনুবাদ পাঠককে চড়াই নিয়ে আগ্রহী করবেই।
কিন্তু হঠাৎ চড়াই কেন?
অচিন্ত্যবাবু জানালেন, অনেকদিন ধরেই এই পাখির প্রতি বিশেষ অনুরাগ রয়েছে তাঁর। তা ছাড়া, চড়াইয়ের সংখ্যাও এখন কমছে। এ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোও পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই লিখেছেন চপল ভট্টাচার্য, ঋত্বিক ত্রিপাঠি, প্রসূনকুমার পড়িয়া, বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, দেবাশিস গোস্বামী, ভাস্করব্রত পতি, সোমা ভট্টাচার্য প্রমুখ। এ ছাড়াও প্রায় সব প্রজাতির চড়াইদের ছবি নিয়ে একটি আলাদা অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন অচিন্ত্যবাবু। তা-ও সকলের মন টানবে। |