পড়াশোনা শিকেয় তুলে সপ্তাহের প্রথম দিনে শিক্ষক ঘেরাও, মারপিটের সাক্ষী রইল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাস। ঘটনার সূত্রপাত বেলা ১২টা নাগাদ। ইংরাজির বিভাগীয় প্রধান চিদানন্দ ভট্টাচার্যকে ঘেরাও করে ওই বিভাগেরই একদল পড়ুয়া। স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়নের পরে প্রথম শ্রেণিতে উর্ত্তীণ হওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একলাফে ১৩৫ হয়েছে, এই বিষয়ে তিনি কেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, তার কারণ জানতে চেয়ে চিদানন্দবাবুকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে ছাত্ররা। তাঁর গায়ে ছাত্ররা থুতু ছেটাতে থাকে বলেও অভিযোগ। তিনি সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করেননি বলে ছাত্রদের বোঝাতে গেলে চিদানন্দবাবুকে অশ্লীল গালিগালাজ কর হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর মধ্যস্থতায় চিদানন্দবাবু ঘেরাওমুক্ত হন। তবে আবার তাঁকে ঘেরাও করা হবে বলে ওই ছাত্ররা হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ‘অপমানিত’ হয়ে তিনি বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
এ দিনই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্র পরিষদ (সিপি) ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। পুলিশের বক্তব্য, চত্বরের ঘরের দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। আহত হন তিন ছাত্র। যদিও সিপির রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়ের অভিযোগ, টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক সুজিত সাম-সহ বেশ কিছু বহিরাগত তাঁদের মারধর করে। তবে টিএমসিপি-র রাজ্য সম্পাদক সুজিত বলেন, “ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম না।” সন্ধ্যায় সিপির আহত সমর্থকদের দেখতে হাসপাতালে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া প্রমুখ। একের পর এক ঘটনায় ছাত্র পরিষদের উপর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হামলার কথা জানিয়ে এ দিনই রাজ্যের মুখ্য সচিব সমর ঘোষকে চিঠি দিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের আর্জি জানিয়েছেন প্রদীপবাবু।
প্রসঙ্গত, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সব্যসাচীবাবু এ দিন জানান, ২০, ২১ এবং ২২ মার্চ বাংলা বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর পদে নিয়োগের যে পরীক্ষা নির্ধারিত ছিল, তা অনিবার্য কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। |