দিনহাটা মহকুমার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আইনের তোয়াক্কা না করেই চলছে গাঁজার চাষ। নিগমনগর, কালিকা, খাঁরুভাজ, মাতালহাট প্রভৃতি অঞ্চলে বাড়ির আনাচেকানাচে এই গাঁজা চাষ হচ্ছে। খড়ের বেড়া ঘেঁষে কিংবা উঠোনের এক পাশে সার বেঁধে ছয়-সাতটি গাছ লাগালেই পাঁচ কেজি গাঁজা অনায়াসে মিলবে। যার আর্থিক মূল্য নেহাত কম নয়। গাঁজা গাছে তেমন যত্নআত্তি লাগে না বললেই চলে। আর তাই অর্থের লোভে দিনহাটা মহকুমাতে রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ।
ছয় মাসের মধ্যে গাঁজার জটা ছাড়ে। এই জটা গাছ থেকে পেড়ে ভাল করে প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে শুকোতে হয়। এই কাজে বাড়ির মহিলারাই বেশি অংশ নিতে দেখা যায়। মদের ঠেক ভাঙার অভিযানের কথা শোনা গেলেও এই অঞ্চলে গাঁজা চাষ বন্ধের জন্য কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। কর্তৃপক্ষ নজর দিন। |
দক্ষিণ দিনাজপুরের বুক চিরে চলে গেছে ১২-এ রাজ্য সড়ক। কৃষি অধ্যুষিত প্রান্তিক এই জেলার বিপুল সংখ্যক অধিবাসীদের বিভিন্ন প্রয়োজনে মালদা, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি যেতেই হয়। হালে চালু হওয়া রেল এই অঞ্চলের জনগণের চাহিদা পূরণে অপারগ। স্বভাবতই এই জেলার অধিবাসীদের নির্ভর করতে হয় সড়ক যোগাযোগের ওপর। আর এতেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে হিলি-বুনিয়াদপুর-গাজোল ১২-এ রাজ্য সড়ক। প্রতি দিনই অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি বাস, ম্যাক্সি-ট্যাক্সি, ট্রেকার, অটো, ভটভটি এই সড়ক দিয়েই ছুটছে। এখানকার সীমান্তবর্তী জনপদ হিলি উত্তরবঙ্গের অন্যতম স্থলবন্দর হওয়ায় এই রাজ্য সড়কের দিয়ে অসংখ্য ভারী ট্রাক চলাচল করে।
অথচ এই সড়কে র উপর অবস্থিত জনবহুল মহকুমা গঙ্গারামপুরের চৌরাস্তা ও বুনিয়াদপুরে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ থেকে আগত রাজ্য সড়কের সংযোগস্থলে কোনও বৈদ্যুতিক ট্রাফিক সিগন্যাল নেই। অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এই দু’টি স্থানে সারা দিন যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিযুক্ত থাকেন মাত্র দুজন পুলিশকর্মী, এক জন ট্রাফিক কনস্টেবল ও এক জন হোমগার্ড। যান ও ভিড়ে পরিপূর্ণ রাস্তায় অধিকাংশ সময়ই গাড়ির চালক ও পথচারীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকদের দেখতে পান না। ফলে আকছার দুর্ঘটনা ঘটে চলে। আর রাতের বেলা যখন পুলিশকর্মীরা থাকেন না, তখনকার কথা তো বলার নয়। এই ব্যস্ত সড়কটিতে কি ট্রাফিক সিগন্যালের ব্যবস্থা করে যানচালক ও পথচারীদের জীবনকে সুরক্ষিত করে তোলা যায় না? এই ব্যাপারে কি কিছু ভাবছেন প্রশাসন ও এই জেলার মাননীয় জনপ্রতিনিধিরা? |
দৈনন্দিন কাজের সুবিধের জন্য আমরা প্লাস্টিকের থালা, বাটি, গ্লাস, বোতল ইত্যাদি জিনিস হরদম ব্যবহার করে চলেছি। আর প্লাস্টিকের ব্যাগের কথা তো বলারই নয়। বাজার থেকে কিছু কেনার পর তা প্লাস্টিকের ব্যাগে দোকানদার ভরে দেন। আমরাও নির্বিকার চিত্তে তা নিয়ে বাড়ি ফিরি। কিন্তু এর মারাত্মক ফল কী হচ্ছে এক বারও ভেবে দেখি না। প্লাস্টিকের জিনিসগুলি কখনও জমিতে, কখনও নর্দমায়, কখনও পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এতে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। জলস্তর নীচে নেমে যাচ্ছে। তা ছাড়া নালা-নর্দমার মুখ বন্ধ হয়ে গিয়ে জল নিকাশের গতি আটকে যাচ্ছে। ফল হিসেবে মশা বাড়ছে, বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হচ্ছে। প্লাস্টিকের ব্যবহারের জন্য পরিবেশ বিপন্ন। বিপন্নতা কাটানোর একটাই উপায় সচেতনতা। মানুষকে আরও বেশি বোঝাতে হবে প্রতি দিন আমরা কী ভুল করে চলেছি। এ বিষয়ে গ্রামপঞ্চায়েত, পৌরসভা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সক্রিয় উদ্যোগ একান্ত জরুরি। |
বালুরঘাটে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার একটি মাত্র শাখা। জনসংখ্যা ও গ্রাহক সংখ্যার তুলনায় একটি শাখা মোটেই যথেষ্ট নয়। কর্মচারীদের ওপর যেমন চাপ পড়ে, তেমনই গ্রাহক পরিষেবাও যথেষ্ট খারাপ। টাকা তোলা ও জমা দেওয়ার জন্য কাউন্টার সংখ্যা ৮টি। সব মিলিয়ে কাউন্টার ১৬টি। তা-ও মাঝে মাঝে ২-৪টি কাউন্টার বন্ধ থাকে। একটি মাত্র প্রিন্টিং মেশিন দিয়ে কোনও মতে দায়সারা ভাবে কাজ চলতে থাকে। স্বভাবতই প্রচণ্ড ভিড়। বয়স্ক মানুষদেরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ধারণা, সাধারণ মানুষের সময়ের দাম নেই। অনেক সময় বয়স্ক লোকেরা দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মাথা ঘুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হেলদোলহীন ভাবে রোজকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর সুষ্ঠু সমাধান করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। |