শুধু প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েই শিক্ষা ক্ষেত্রে গণ-টোকাটুকি নির্মূল করা সম্ভব। তার জন্য আধা-সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মৌলানা আজাদ কলেজে রবিবার অল বেঙ্গল স্টেট গভর্নমেন্ট কলেজ টিচারস অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে গণ-টোকাটুকির মোকাবিলা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি মন্তব্য করেন, “টোকাটুকি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতি বছরই হয়। এ বছরও কয়েকটি জায়গায় হয়েছে। সেটাকে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে। কিন্তু তার জন্য আধাসেনা বা মিলিটারি র্যাফ নামানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।”
এ বার মাধ্যমিকে বিভিন্ন জেলায় বহু পরীক্ষা কেন্দ্রে টোকাটুকি হয়েছে। গাছে চড়ে, কার্নিশে উঠে উত্তর লেখা চিরকুট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের কাছে।
টোকাটুকি রুখতে গিয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে মারধর খেতে হয়েছে পুলিশকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে টোকাটুকির মোকাবিলার ব্যাপারে গত শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কেননা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ মার্চ। টোকাটুকি প্রতিরোধ প্রসঙ্গে মুক্তিনাথবাবু বলেন, “পুলিশের বড় কর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যে-সব জায়গায় অতিরিক্ত গণ-টোকাটুকি হয়, সেখানে প্রয়োজনে আধা-সামরিক বাহিনী নামানো যেতে পারে।” |
নকল রুখতে ত্রিপলের ঘেরাটোপে আস্ত স্কুল ভবন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই অভিনব ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে কুলতলির নারায়ণতলা হাইস্কুলে। সামসুল হুদার তোলা ছবি। |
সত্যিই পরীক্ষা কেন্দ্রে আধা-সামরিক বাহিনী নামানো হতে পারে কি না, রবিবার খোদ শিক্ষামন্ত্রীর কাছেই তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, “খুব স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতেও আধা-সামরিক বাহিনী নামানোর প্রয়োজন নেই। প্রশাসনই এটার মোকাবিলা করতে সক্ষম।” শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেও মুক্তিনাথবাবু অবশ্য নিজের বক্তব্যে অটল। রীতিমতো উদাহরণ টেনে তিনি এ দিন বলেন, “গত বার খড়দহের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে গণ্ডগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, র্যাফ নামাতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। বিশেষ পরিস্থিতিতে আধা-সামরিক বাহিনী নামানো যেতে পারে।” তবে আধা-সামরিক বাহিনী নামানোটা যে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাজ নয়, সেটাও পরিষ্কার করে দেন সংসদ-প্রধান। তিনি বলেন, “যা করার, তা প্রশাসনই করবে। সংসদ আধা-সামরিক বাহিনী নামানোর কেউ নয়। |