‘জতুগৃহ’ বরাহনগর জুটমিলে ফের আগুন |
চার দিনের মাথায় ফের আগুন লাগল বরাহনগর জুটমিলে।
গত বুধবারই আগুন লেগেছিল সেখানে। রবিবার দুপুরে জুটমিলের কাঁচামাল রাখার জায়গায় ফের আগুন ছড়ায়। তবে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দমকলের অভিযোগ, জুটমিলের অনেক জায়গাই কার্যত জতুগৃহ। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহার করার মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নেই। ওই জুটমিলের বিরুদ্ধে এ দিন তাই ফের এফআইআর করেছে তারা।
দমকল জানিয়েছে, জুটমিলের ভিতরে ঘূর্ণায়মান একটি যন্ত্র থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে ‘স্টার্টিং’ বিভাগের ‘ইমালশন’ ট্যাঙ্কে লাগে। যা থেকে আগুন লাগে কয়েকটি ট্যাঙ্কে। এর পরে আগুন উঠতে থাকে ছাদের উপরের ট্যাঙ্কগুলিতেও। পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, দমকল আসার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেছিলেন কর্মীরা।
‘স্টার্টিং’ বিভাগের ছাদে উঠে দেখা গেল, ইমালশন ট্যাঙ্কের গা ঘেঁষেই বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন। ছাদে পড়ে বিদ্যুতের কেব্ল। যা থেকে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা দমকলের। একই আশঙ্কা থেকে সিইএসসি এ দিন ওই হাইটেনশন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। |
অগ্নিকাণ্ডের পরে। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র |
স্থানীয় ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিলের পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে মিল কর্তৃপক্ষই হাইটেনশন লাইনের জায়গায় ওই ট্যাঙ্কগুলি তৈরি করেছেন। তাঁরা উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।” মিলের পক্ষে ঋতেশ খান্ডেলওয়াল বলেন, “বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা পাল্টাতে বিস্তর খরচ। দেড়শো বছর আগের মিল। আগে কিছুই ছিল না। এখন তবু বিদ্যুতের তার কেব্লের মধ্যেই আছে।”
এই ঘটনার খবর পেয়ে আগামী সপ্তাহেই বরাহনগর পুরসভা থেকে মিল পর্যবেক্ষণে একটি দল পাঠানো হবে বলে জানান চেয়ারপার্সন অপর্ণা মোলিক। তিনি বলেন, “আধিকারিকেরা রিপোর্ট দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |