এনবিএসটিসি
কর্মী-বিক্ষোভ চলছেই
ত্তরবঙ্গ জুড়ে কয়েকটি ডিপো তুলে দেওয়া এবং অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের আন্দোলন চলছেই। ডুয়ার্সের বারবিশা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের জোড়াই ডিপো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার ভোর থেকে আন্দোলনে নামেন এলাকার বাসিন্দারা। জোড়াই ডিপো বাঁচাও কমিটি গড়ে মঙ্গলবার এলাকার বসিন্দারা ওই ডিপোর সামনে অবরোধ করেন। তার জেরে এদিন ডিপোর চারটি রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জোড়াই ডিপো আলিপুরদুয়ারে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জোড়াই ডিপো তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিগমের আভ্যন্তরীন ব্যাপার। তার সঙ্গে যাত্রী পরিষেবার কোনও সম্পর্ক নেই। ডিপো সরিয়ে নেওয়া হলেও যাত্রী পরিষেবা কোনও ভাবেই ব্যাহত হবে না।”
এনবিএসটিসি-র ডিপো তোলার প্রতিবাদ।

ময়নাগুড়ি


বালুরঘাট

শামুকতলা

মঙ্গলবার ছবিগুলি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক, অমিত মোহান্ত ও রাজু সাহা।
ডিপো বাঁচার কমিটির নেতা প্রণয় কর, অখিল সরকারদের বক্তব্য, “এই আন্দোলন কেবল পরিষেবা সংক্রান্ত নয়। ৫২ বছরের পুরানো এই ডিপো কোনও ভাবেই সরতে দেব না।” তাঁদের বক্তব্য, এত বড় ডিপো উত্তরবঙ্গের অন্য কোথাও নেই। ডিপোর আয়ও সন্তোষজনক। কেবল জানুয়ারি মাসেই ডিপো থেকে আয় হয়েছে ১৪ লক্ষ টাকা। এই এলাকার ভৌগোলিক গুরুত্ব বিচার করে এটিকে কাজে লাগানো হোক। চাঁচল ডিপো যাতে তোলা না-হয় সেই আর্জি জানিয়ে এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে ফোন করেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুরও। চাঁচল ডিপো তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নাগরিক মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাতে সবকটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই রয়েছেন। উত্তর মালদহের সাংসদ বলেন, “দফতরের মন্ত্রীকে বলেছি, চাঁচলে ডিপো থাকুক। এটা সাধারন মানুষের দাবি। তাই মন্ত্রীকে অনুরোধ করেই বলেছি ডিপো যেন তুলে না নেওয়া হয়।” মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলছেন বলে জানান সাংসদ। বালুরঘাট ডিপোর ২৯ জন ঠিকাকর্মীর অবস্থান মঙ্গলবার ২১ দিনে পড়ল। এদিন জেলাশসাককে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। ময়নাগুড়িতে এদিন এনবিএসটিসি ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম কর্মীরা। এদিনও ওই ডিপোর কর্মীদের জলপাইগুড়িতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সিপিএমের ময়নাগুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ ঘোষ বলেন, “ময়নাগুড়ি ডিপোকে জলপাইগুড়ি ডিপোর সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মানা যায় না। সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.