রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হবে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন। মঙ্গলবার তিনি রামপুরহাট হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুদের বিশেষ চিকিৎসার জন্য এসএনসিইউ-এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, “রামপুরহাট-সহ রাজ্যের সাতটি হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” রামপুরহাট হাসপাতালের ফাঁকা জমিতে নতুন কিছু করার জন্য মন্ত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরিকল্পনা করে তাঁকে জানাতে বলেছেন। রামপুরহাটে ১০ শয্যার এসএনসিইউ চালু হল। বছর খানেক আগে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ১৪ শয্যার এসএনসিইউ চালু হয়। চন্দিমা বলেন, “শীঘ্রই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও এসএনসিইউ চালু করা হবে। মার্চ মাসের মধ্যে রাজ্যে ৪০টি জায়গায় এসএনসিইউ চালু করতে পারব।” |
রামপুরহাটে এসএনসিইউতে শিশুদের নিয়ে যাচ্ছেন মায়েরা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
অনুষ্ঠান মঞ্চে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল অবস্থার কথা জানান রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী তথা মুরারই-এর বিধায়ক নুরে আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমার বাড়ি মাড়গ্রামে। মাড়গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রায় উঠে যাওয়ার অবস্থা। সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা ঠিক মতো মেলে না। পাইকরে মুরারই ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থাও ভাল নয়। এ দিনও সেখানকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এক জন মাত্র চিকিৎসক এসেছেন। পরিষেবা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তিনি মন্ত্রীকে নজর দেওয়ার জন্য বলেন।” মঞ্চে উপস্থিত হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক কংগ্রেসের অসিত মাল অভিযোগ তোলেন, “উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির বেহাল দশার জন্যেই মহকুমা হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। ফলে এখানে রোগীদের ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না।” হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী নিয়োগ না করার জন্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পাল্টা গত বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “আগের সরকারের জন্যেই এই সমস্যা। আমরা সমস্যাগুলির সমাধানের চেষ্টা করছি।” |