টুকরো খবর
শুরু সচেতনতা র্যালি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শিলিগুড়িতে র্যালি। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস বোর্ডের উদ্যোগে সবুজায়নের লক্ষে সচেতনতা প্রচারে ৫ দিনের সাইকেল র্যালি শুরু হল। ইউজিসি-র আর্থিক সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররা র্যালিতে যোগ দেন। এই উদ্যোগ এই প্রথম। ৫ দিন ধরে বিভিন্ন জেলায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা একাংশ কলেজগুলিতে র্যালি যাবে। সেখানে গাছ লাগানো এবং প্রকৃতি রক্ষার উপর প্রচার চালাবে ছাত্ররা। জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কলেজের দেবজ্যোতি মণ্ডল, কামাখ্যাগুড়ির শহিদ ক্ষুদিরাম কলেজের টিঙ্কু রায়, ময়নাগুড়ি কলেজে সুদীপ বাসুনিয়ারা সব মিলিয়ে ২৫ জন র্যালিতে যোগ দিয়েছেন। দলটি এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিক্যাল কলেজ মোড়, কাওয়াখালি, নৌকাঘাট হয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে যায়। সেখান থেকে রাজগঞ্জ কলেজে। তারপর র্যালি পৌঁছয় জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজে। এ দিন রাতে সেখানেই থাকেন র্যালিতে অংশগ্রহনকারীরা। আজ, বুধবার তাঁরা রওনা হবেন ধূপগুড়ি সুকান্ত কলেজের উদ্দেশে। সেখান থেকে ফালাকাটা কলেজে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ফালাকাটা কলেজ থেকে র্যালি যাবে আলিপুরদুয়ার কলেজ ও তার পর কোচবিহারের ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা মহিলা কলেজে। শুক্রবার ময়নাগুড়ি কলেজে র্যালি পৌঁছবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে র্যালি শেষ হবে।

‘জনচেতনা’র আর্জি
১৯৮৮ সালের ভারত-নেপাল চুক্তির কথা মাথায় রেখে জিটিএ’তে তরাই-ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির দাবি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করল ‘জনচেতনা’-সহ কয়েকটি অরাজনৈতিক সংগঠন। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে জনচেতনার পক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়, ১৯৮৮ সালের ভারত-নেপাল চুক্তি মেনে ১৯৫০ সালের পর যাঁরা নেপাল থেকে এসেছেন তাঁরা এ দেশের নাগরিক নন। বিদেশি বলেই গণ্য হবেন। তা চিহ্নিতকরণের বিষটি গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মোর্চার দাবি খতিয়ে দেখুক বলে তারা আর্জি জানান। পাশাপাশি তারা জানান, শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি থেকে রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সকলেরই দ্বারস্থ হবেন। তরাই এবং ডুয়ার্সের একাংশ জিটিএ’র অন্তর্ভুক্তি চেয়ে মোর্চার দাবির যৌক্তিকতা খুঁজতে সরকারের তরফে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গড়ে সমীক্ষা হচ্ছে। এ দিন জনচেতনা, তরাই ডুয়ার্স নাগরিক মঞ্চ, মালবাজারের জনজাগরণ সংগঠনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ জানানো হয়। জনচেতনার সভাপতি দেবপ্রসাদ কর বলেন, “নেপাল থেকে এ দেশে আসার ক্ষেত্রে ভারত-নেপাল চুক্তি ঠিক মতো মানা হয়নি বলে আদালতে মামলা করেছি। নানা কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি যে সমীক্ষা করছে সেখানে ভারত-নেপাল চুক্তির বিষয়টি মানতে হবে। তা না মেনে কমিটি গড়া অসাংবিধানিক।” দেবপ্রসাদবাবু ছাড়া এ দিন উপস্থিত ছিলেন ডুয়ার্স-তরাই নাগরিক মঞ্চের কর্মকর্তা নীলমণি বর্মন, মালবাজার জনজাগরণের অন্যতম শঙ্কর চৌধুরী-সহ অনেকেই। তাঁরা সকলেই জানান, এ ভাবে তরাই-ডুয়ার্সকে জিটিএ অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতায় এলাকার অন্যান্য সংগঠনগুলির সঙ্গেও তারা কথা বলছেন। প্রয়োজনে সকলকে নিয়েই পথসভা, সেমিনার করে আন্দোলনে নামবেন।

বিয়েতে রাজি ফেরার পাত্র
চার দিন পালিয়ে থাকার পরে সোমবার রাতে গ্রামে ফিরে অভিযোগকারিনীকে বিয়ে করলেন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক শঙ্কর দাস। ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাসের পরেও বিয়েতে বেঁকে বসায় পুলিশ অভিযোগদায়ের হয়। এর পরে বিয়েতে তিনি সন্মত হলে ওই তরুণী অভিযোগ তুলে নেন। বিয়ের দিন ওই স্কুল শিক্ষক পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় তরুণী ফের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে শিক্ষকের মা ও দাদাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সোমবার গ্রামে ফিরে তরুণীকে বিয়ে করেন স্কুল শিক্ষক। ওই তরুণী এবং স্কুল শিক্ষক জানান, নতুন করে জীবন শুরু করতে চান তাঁরা। ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কাজল দত্ত বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়ে ওই তরুণ তরুণী নতুন করে জীবন শুরু করায় গ্রামের সকলেই খুশি হয়েছেন।”

শিক্ষাবিদের জীবনাবসান
শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কলেজপাড়ায় একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। নারায়ণবাবু একসময় শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতিও ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়েই নার্সিংহোমে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব, মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত, সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার-সহ বহু মানুষ। পরে দেহটি ওয়েলফেয়ারে অর্গানাইজেশনে নিয়ে আসা হলে সেখানে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। দেহটি স্কুলেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বহু তৃণমূল নেতা দীপক শীল-সহ বহু প্রাক্তন ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। পরে দেহটি নারায়ণবাবুর মিলণপল্লির বাড়ি থেকে কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সভা। জলপাইগুড়ি জেলার রাস্তা সংস্কার, জিপের পারমিট প্রদান এবং জিপের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সরব হলেন জলপাইগুড়ি জেলার বড় এবং ছোট বাসের মালিকেরা। মঙ্গলবার যৌথ সংগ্রাম সমিতির তরফে সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “আমরা জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেব।

কংগ্রেসে যোগ
মাটিগাড়া ও নকশালবাড়ি এলাকার ক্ষৌরকারদের নাই শুধার সমিতির ৪১১ জন কংগ্রেসে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার নকশালবাড়িতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমিতির সদস্যদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। ওই সমিতির সদস্যরা এতদিন বামেদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, গত ৩৪ বছরে তাঁদের কোনও দাবির প্রতিই পূর্বতন রাজ্য সরকার গুরুত্ব দেয়নি। এদিন সমিতির তরফে শঙ্করবাবুর হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে ক্ষৌরকারদের বিপিএল তালিকাভুক্ত করা-সহ একগুচ্ছ দাবি পেশ করা হয়। বিধায়ক সমস্ত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। শঙ্করবাবু বলেন, “ক্ষৌরকাররা সত্যিই নানা সমস্যায় রয়েছেন। কী ভাবে সেগুলি দূর করা যায় সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অনুষ্ঠানে নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষ, ব্লক কংগ্রেসের আহ্বায়ক পৃত্থীশ দেবনাথ বক্তব্য রাখেন।

পালিত একুশে
২১ ফেব্রুয়ারি পালন করল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সৃজন’। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের কাছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ারে অনুষ্ঠান হয়। সংগঠনের পক্ষে প্রদীপ সরকার জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা দীপেন বসাক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। হেল্প সেন্টার। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য খড়িবাড়িতে ‘হেল্প সেন্টার’ চালু করল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের ব্লক কমিটির আহ্বায়ক কাঞ্চন দেবনাথ জানান, খড়িবাড়িতে ৩টি স্কুলে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীদের সাহায্যেই হেল্প সেন্টার খোলা হচ্ছে।

সভা
জলপাইগুড়ি জেলার রাস্তা সংস্কার, জিপের পারমিট প্রদান এবং জিপের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে সরব হলেন জলপাইগুড়ি জেলার বড় এবং ছোট বাসের মালিকেরা। মঙ্গলবার যৌথ সংগ্রাম সমিতির তরফে সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “আমরা জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেব। কাজ না হলে আন্দোলনে নামব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.