একুশের অনুষ্ঠান নিয়েও শক্তি প্রদর্শনের তরজা
রাজনৈতিক ‘তরজা’র সাক্ষী থাকল ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানও।
সরকারি ‘পৃষ্ঠপোষকতায়’ মঙ্গলবার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে ‘গঙ্গা-পদ্মা ভাষা মৈত্রী সমিতি’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যার নেপথ্যে আবার সিপিএমের কয়েক জন নেতার ভূমিকাই ছিল ‘মুখ্য’। এ বার রাজ্য সরকার বনগাঁ পুরসভা ও বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করবে বলে ঘোষণা করে। ‘আইনশৃঙ্খলার’ সমস্যার কথা বিবেচনা করে ‘একই জায়গায় কাছাকাছি সময়ে’ ‘গঙ্গা-পদ্মা ভাষা মৈত্রী সমিতি’-র পৃথক অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বনগাঁ মহকুমা প্রশাসন।
যদিও সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ শ্যামল চক্রবর্তী, ভাষা দিবস উদযাপনের অন্যতম উদ্যোক্তা তথা দলের নেতা অমিতাভ নন্দী, রাজ্য কমিটির সদস্য নেপালদেব ভট্টাচার্যেরা এ দিন এসেছিলেন বনগাঁয়। মাইক বাজানোর অনুমতি না-পাওয়ায় মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তাই অর্ধসমাপ্ত মঞ্চ থেকেই মাইক ছাড়া বক্তৃতা করেন তাঁরা। কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অবশ্য হয়নি।
ভাষা শহিদ দিবসে পেট্রাপোল সীমান্তে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সিপিএম নেতারা।পার্থসারথি নন্দী
শ্যামলবাবু রাজ্য সরকারকে কার্যত ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “পরের বার আরও সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে বিশাল সমাবেশ করব আমরা। ৫০টি মাইক ব্যবহার করব।” অমিতাভ নন্দীর কথায়, “আমরা কখনও দলের পতাকা নিয়ে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করিনি। কিন্তু রাজ্য সরকার বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করেও বিভাজন করল।” রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে এ দিন বনগাঁ পুরসভার কয়েক জন বাম কাউন্সিলরকেও দেখা গিয়েছে। জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (ভাষা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা) বলেন, “সিপিএমের চ্যালেঞ্জ আমরা নিলাম। পরের বার আমরা সকলকে নিয়ে আরও বড় অনুষ্ঠান করে দেখিয়ে দেব।”
ভারত-বাংলাদেশ নো-ম্যানস ল্যান্ডের কাছেই পেট্রাপোলে সরকারি মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। পরে এ পার থেকে একটি প্রতিনিধিদল যায় বেনাপোলে। সেখানে বাংলাদেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ এসেছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সীমান্তের গেট খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। বাংলাদেশি প্রতিনিধিরাও এ পারের অনুষ্ঠান মঞ্চে আসেন। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। তাঁর নির্দেশেই আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।” বস্তুত, মমতা নিজে পেট্রাপোলে না এলেও তাঁর বিশাল বিশাল কাটআউট দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা ‘সাজানো’ হয়েছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.