|
|
|
|
সিএবি-র আগেই ঋদ্ধিমানদের সংবর্ধনা দিচ্ছে মোহনবাগান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিএবি যা এখনও করে উঠতে পারেনি, সেটাই করছে দেশের জাতীয় ক্লাব। প্রথম বার পূর্বাঞ্চলের হয়ে দলীপ ট্রফি জয়ী বাংলার পাঁচ ক্রিকেটারকে সিএবি-র আগেই সংবর্ধনা দিতে চলেছে মোহনবাগান।
আগামী ১ মার্চ, ক্লাব লনে এই সংবর্ধনা। যেখানে পাঁচ ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা, অনুষ্টুপ মজুমদার, অশোক দিন্দা, সামি আহমেদ এবং শ্রীবৎস গোস্বামী ছাড়াও থাকবেন পূর্বাঞ্চলের ম্যানেজার সমীর দাশগুপ্ত। ক্রিকেটারদের কোনও স্মারক দেওয়া হচ্ছে না। ভাবনা-চিন্তা চলছে, ব্লেজার দেওয়া যায় কি না। সঙ্গে ভাবা হচ্ছে, মোহনবাগানে খেলে যাওয়া প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ডাকার কথাও। মঙ্গলবার মোহনবাগানের সহ সচিব এবং ক্রিকেটের প্রধান সৃঞ্জয় বসু বলছিলেন, “ক্রিকেটাররা সব জায়গাতেই স্মারক পেয়ে থাকে। আমরা এমন কিছু দিতে চাই যেটা ওদের কাজে লাগবে।”
আর সিএবি? দলীপ জয়ের পর পরই রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিজয় হাজারে ট্রফি শহরে শুরু হলে পূর্বাঞ্চল ক্রিকেটারদের নৈশভোজে ডাকা হবে। এই সময় পূর্বাঞ্চলের সব টিমকেই পাওয়া যাবে শহরে। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হয়ে গেলে কী হবে, সিএবি কর্তাদের গড়িমসি চলছেই। সংবর্ধনা দূরে থাক, ক্রিকেটারদের নৈশভোজ দেওয়া হবে কি না সেটাও এ দিন রাত পর্যন্ত ঠিক হয়নি। শুধুমাত্র সিএবি-র বাইরে ফেস্টুন ঝোলানো হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কবে হবে জিজ্ঞেস করা হলে যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ঠিক হয়নি কিছু। হবে নিশ্চয়ই এর মধ্যে।” আর প্রতিশ্রুতিমাফিক নৈশভোজ? এ বার সচিব উত্তর দিচ্ছেন, “ওটা প্রেসিডেন্ট দেখছেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলতে হবে।” ঋদ্ধিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নিয়ে যদিও কোনও রেষারেষির রাস্তায় হাঁটতে রাজি নয় মোহনবাগান। সৃঞ্জয় বলছেন, “কে কী করছে, সেটা নিয়ে ভাবছি না।” তবে মোহনবাগানের পক্ষ থেকে যা-ই বলা হোক, সিএবি-র এই অহেতুক গড়িমসি নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ময়দানে। |
|
|
|
|
|