|
|
|
|
এ বার সহবাগ বনাম ধোনি? |
‘আমাদের কিন্তু বলেনি ফিল্ডিং খারাপ বলে খেলাচ্ছে না’ |
সংবাদসংস্থা • ব্রিসবেন |
শ্রীলঙ্কার হাতে বিধ্বস্ত হওয়ার দিনেই ফের বেরিয়ে পড়ল ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ফাটলের ছবি। কানাঘুষোয় অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, ভারতীয় দল কার্যত দু’টো শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটা অধিনায়ক ধোনির। অন্যটা সহ-অধিনায়ক সহবাগের।
এই আশঙ্কাকে এ দিন আরও গতি পাইয়ে দিয়ে গেলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। আগের দিন ধোনি যে বলেছিলেন, সচিন-সহবাগ-গম্ভীরকে একসঙ্গে খেলানো হচ্ছে না তার কারণ ওরা মাঠে অনেক মন্থর, সেটা নিয়ে এ দিন গাব্বায় ম্যাচ হারার পর প্রশ্ন করা হয় সহবাগকে। ধোনির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়া তিনি সরাসরি বলে দেন, এ রকম কোনও কারণের কথা জানেন না। সাংবাদিক সম্মেলনে সহবাগ বলে যান, “জানি না ধোনি আগের দিন কী বলেছে। মিডিয়ায় কী হইচই চলছে তার খবরও রাখি না। শুধু এটুকু জানি যে, ধোনি আলাদা করে আমার, সচিন আর গম্ভীরের সঙ্গে কথা বলেছিল। তখন বলেছিল যে, ও তরুণদের বেশি সুযোগ দিতে চায়। যেহেতু পরের বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়াতে, এ বারের সফরে ওরা যত বেশি ম্যাচ খেলবে ততই এখানকার পিচ, আবহাওয়া নিয়ে অভিজ্ঞতা বাড়বে। খারাপ ফিল্ডিংয়ের কথা আমাদের মোটেও বলা হয়নি।”
|
|
ধোনি আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, সচিন-সহবাগ-গম্ভীর তিন জন এক সঙ্গে খেললে ফিল্ডিংয়ে অন্তত ২০ রান বেশি গলে যায়। সহবাগকে এ দিন তাঁদের ফিল্ডিং নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি আপারকাট মারার ভঙ্গিতেই উড়িয়ে দেন। হাসতে হাসতে প্রশ্নকর্তার দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনি আজকের ক্যাচটা দেখেছেন?” মিডউইকেটে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাহেলা জয়বর্ধনের দুর্দান্ত ক্যাচ এ দিন নিয়েছেন সহবাগ। সেটাই মনে করিয়ে আরও বলেন, “গত দশ বছর ধরে আমরা তো এ রকমই আছি। কোনও কিছু বদলায়নি।” তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় তিন জন সিনিয়রকে একসঙ্গে খেলানোটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে কি না? দ্রুত জবাব আসে, “আমার মনে হয় না। তিন জনে একসঙ্গে তো আমরা বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতালাম।”
তরুণ ক্রিকেটাররা ২০ রান বাঁচাবে বলে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও কি তাঁদের সুযোগ দিয়ে যাওয়া উচিত? সহবাগের জবাব, “আপনাদের উচিত ধোনিকে এটা জিজ্ঞেস করা। ও আমাদের যা বলেছিল তাতে ফিল্ডিংয়ের কোনও গল্প ছিল না। বলেছিল তরুণ ক্রিকেটাররা এখানে এসে পরের বিশ্বকাপ খেলবে। তাই আমাদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিশ্রাম নিয়ে ওদের বেশি সুযোগ দেওয়া উচিত।” আপনি কি ধোনির সঙ্গে কথা বলবেন? সহবাগের জবাব, “আমি কেন ওর সঙ্গে কথা বলতে যাব? ও ক্যাপ্টেন। যদি ক্যাপ্টেন আর কোচ মনে করে ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানদের সব ম্যাচ খেলানো হবে না তা হলে ঠিক আছে। আমার অসুবিধেটা কোথায়!”
এক সাংবাদিক এর পরেও বললেন, টিমের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন ভেঙে পড়েছে যে, আপনাদের দু’জনের কি এখনই মুখোমুখি বসে কথা বলা উচিত নয়? বা প্রয়োজনে ক্যাপ্টেনকে তো আপনি প্রশ্নও করতে পারেন। সহবাগ ফের ওড়ালেন, “আমি সব ম্যাচ খেলার জন্য তৈরি। এ বার ক্যাপ্টেন আর কোচের ব্যাপার, তারা প্রথম একাদশ কী বাছবেন। যদি ওরা বলে, তরুণদের বেশি সুযোগ দিতে চাই বলে তোমাকে কয়েকটা ম্যাচ বসতে হবে আমি খুশি মনে মেনে নেব।”
বোঝাই যাচ্ছে, মাঠের ভেতরেই শুধু লজ্জিত হচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট। ড্রেসিংরুম-বিভেদের ছবি ছড়িয়ে পড়ে আরও ছিন্নভিন্ন দেখাচ্ছে!
|
তিন নেতা চান সৌরভ |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
কপিল দেবের পর এ বার কার্যত ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর কথা তুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ধোনির নাম না করে বললেন, “নির্বাচকদের তিন ধরনের ক্রিকেটের জন্য তিন জন অধিনায়ক বাছা উচিত।” সঙ্গে বিদেশে পারফরম্যান্সও খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। “২০০৩-২০০৭ এই সময়ে কিন্তু বিদেশে আমাদের পারফরম্যান্স অনেক ভাল ছিল।”
শুধু তা-ই নয়, সচিনদের ফিল্ডিং নিয়ে কটাক্ষ করার জন্য ধোনিকে এক হাত নিয়েছেন, “এমন টিম নেই যাদের এগারো জনই দুর্দান্ত ফিল্ডার। ফিল্ডিং অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সব না। কঠিন পরিবেশে রানও করতে হবে। ধোনির এই জায়গাটায় ভারসাম্য রাখা উচিত। দুম করে বলতে পারে না অমুকে ফিল্ডিং করতে পারে না তাই তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে। তা হলে কি যে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে কিন্তু ব্যাটিংয়ে গড় ১৫, তাকে সব ম্যাচ খেলিয়ে যাব? দেখেশুনে ভারসাম্য রেখে টিম করতে হবে।” কয়েক জন নির্দিষ্ট প্লেয়ারকে টানা সমর্থনের নীতিও ধোনিকে ছাড়তে হবে মনে করেন সৌরভ, “বুঝতে পারছি, প্রত্যেক ক্যাপ্টেনের কিছু প্লেয়ারের ওপর বেশি আস্থা থাকে। সমস্যাটা হচ্ছে, ধোনি কাউকে কাউকে অনেক বেশি দিন আঁকড়ে থাকছে। ২০১৫ বিশ্বকাপের এখনও দেরি আছে। অথচ রায়নাকে ২০১৫-র কথা ভেবে নাকি খেলানো হচ্ছে। বাজি ধরতে পারি, রায়না যদি টেকনিকে উন্নতি না ঘটায় তা হলে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে সমস্যায় পড়বে। ওকে তো হাফভলি দেবে না। বাউন্স করিয়ে আউট করার চেষ্টা করবে। নির্বাচকদের উচিত এমন তরুণদের সুযোগ দেওয়া যারা পারফর্ম করবে।” |
|
|
|
|
|