|
|
|
|
অধিনায়ক ধোনির অভাবটা চোখে পড়ল |
রবি শাস্ত্রী |
ভারতীয়রা আজ দিগ্ভ্রষ্ট হয়ে গেল। যার সবচেয়ে বড় কারণ ওদের বোলিং। ফিল্ডিংকে আমি দোষ দেব না। মাঠে কয়েক জন মন্থর ফিল্ডার ছিল কি না সেই তর্কেও যাচ্ছি না। পরের দিকে ব্যাটিংও ভারতকে ডুবিয়েছে। যদিও ততক্ষণে ভারতের কাজটা খুব বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল।
বাধ্য হচ্ছি বলতে যে, বীরেন্দ্র সহবাগ আজ ঠিকঠাক অঙ্ক মেলাতে পারল না। না হলে ইনিংসের শেষের দিকে যখন শ্রীলঙ্কার হাতে উইকেট আছে আর ওরা ধুমধাড়াক্কা মেরে যাচ্ছে, তখন কেউ শেষ দুটো ওভার রায়না আর কোহলিকে বল করতে দেয়? এ তো ক্ষুধার্ত শেয়ালের সামনে ভেড়া ছেড়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার!
ইরফান পাঠান ভাল বল করলেও বিনয় কুমার ধারাবাহিক ছিল না। উমেশ যাদবও লাইন-লেংথ ঠিক রাখতে পারেনি। ওর স্পেলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি বা শৃঙ্খলা ছিল না। যখন ও ওয়াইড বল করছিল না, তখনই খুব বেশি শর্ট বল দিচ্ছিল। দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাডেজা অবশ্য ভাল বল করেছে।
|
|
শিকার সচিন। শিকারি কুলশেখরা।
মঙ্গলবার ব্রিসবেনে। ছবি: গেটি ইমেজেস |
কিপার-ক্যাপ্টেন এবং ব্যাট হাতে অসাধারণ ফিনিশার দুই ভূমিকাতেই ধোনির অভাব আজ খুব বেশি চোখে পড়ল। অধিনায়ক ছাড়া মাঠে ভারতীয়দের তীক্ষ্নতাও কমে গিয়েছিল। কমেন্ট্রি-বক্স থেকে অন্তত সে রকমই মনে হচ্ছিল। স্লো ওভার রেটের জন্য ধোনির নির্বাসন ভারতের পক্ষে খুব খারাপ সময়ে এলো।
দলের তিন প্রধান ব্যাটসম্যান যে ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারল না তাতে ভারতের বেশ ক্ষতি হল। বাকিদের উপর খুব বেশি চাপ পড়ে গিয়েছিল। ক্রিজে অল্প সময় থাকলেও সচিন তেন্ডুলকর দুরন্ত ছন্দে ছিল। হঠাৎ ওর আউট হওয়াটা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। তরুণরা ভাল লড়াই করছিল। শ্রীলঙ্কানদের ক্যাচ গলানোও ওদের সাহায্য করেছে। ইরফান আরও এক বার ওর জাতটা দেখিয়ে দিল। কিন্তু শেষমেশ গুটিকয়েক ব্যাটসম্যানের কাঁধে পাহাড়প্রমাণ বোঝা চেপে গিয়েছিল।
ভারতীয়দের জন্য কাজটা এখন খুব কঠিন। সামনের সপ্তাহে বাকি দুটো ম্যাচের দুটোই জিততে হবে। না হলে এই গ্রীষ্ম ওদের জন্য এখানেই শেষ। শ্রীলঙ্কার হাতে একটা বাড়তি ম্যাচ আছে। তার উপর ওরা ভারতের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পেতে শ্রীলঙ্কার বেশি সময় লাগেনি। সেখানে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ভারতকে ভুগিয়েছে। অ্যাডিলেডের যে ম্যাচটায় গৌতম গম্ভীর দুর্দান্ত খেলল আর ধোনি নীচের দিকটা ধরে রাখল, ভারতীয় দলটাকে ঠিকঠাক মনে হয়েছিল। তার পর থেকে ভারতের জন্য ফাইনালের রাস্তাটা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছে। এখনও কি এই রোটেশন নীতি চলতে থাকবে?
|
|
ম্যাচ |
জয় |
হার |
টাই |
পয়েন্ট |
নেট রানরেট |
অস্ট্রেলিয়া |
৫ |
৩ |
২ |
০ |
১৪ |
০.৪৩৩ |
শ্রীলঙ্কা |
৫ |
২ |
২ |
১ |
১১ |
০.৪৮১ |
ভারত |
৬ |
২ |
৩ |
১ |
১০ |
-০.৭৩৩ |
|
|
ব্রিসবেনের স্কোর
|
শ্রীলঙ্কা
|
জয়বর্ধনে ক সহবাগ বো ইরফান ৪৫
দিলশান ক পার্থিব বো অশ্বিন ৫১
সঙ্গকারা ক সচিন বো উমেশ ৮
চণ্ডীমল বো ইরফান ৩৮
থিরিমান্নে ক রায়না বো অশ্বিন ৬২
ম্যাথেউজ ন.আ. ৪৯
পেরেরা বো রায়না ১০
মাহরুফ ন.আ. ৪
অতিরিক্ত ২২
মোট ৫০ ওভারে ২৮৯-৬
পতন: ৯৫, ১০৪, ১২৪, ১৯৫, ২৪৪, ২৬৫
বোলিং: বিনয় ৮-১-৪৮-০, ইরফান ১০-০-৫৪-২, উমেশ ৮-০-৫৮-১,
জাডেজা ১০-০-৪৩-০,
অশ্বিন ১০-০-৫০-২, সহবাগ ২-০-৯-০,
রায়না ১-০-১০-১, কোহলি ১-০-১৪-০
|
ভারত
|
সহবাগ ক কুলশেখরা বো মালিঙ্গা ০
সচিন বো কুলশেখরা ২২
গম্ভীর ক পেরেরা বো কুলশেখরা ২৯
কোহলি ক কুলশেখরা বো পেরেরা ৬৬
রায়না ক থিরিমান্নে বো মাহরুফ ৩২
জাডেজা বো কুলশেখরা ১৭
ইরফান ক ও বো পেরেরা ৪৭
পার্থিব ক মালিঙ্গা বো পেরেরা ৪
অশ্বিন ক সঙ্গকারা বো মালিঙ্গা ৫
বিনয় ক সেনানায়কে বো পেরেরা ০
উমেশ ন.আ. ০ অতিরিক্ত ১৬
মোট ৪৫.১ ওভারে ২৩৮ অল আউট।
পতন: ০, ৩৮, ৫৪, ১৪৬, ১৭২, ১৯১, ২১৫, ২৩২, ২৩৩।
বোলিং: মালিঙ্গা ৮-০-৫৫-২, কুলশেখরা ৯-০-৪০-৩, মাহরুফ ১০-১-৫২-১,
ম্যাথেউজ ৪-০-১২-০, পেরেরা ৭.১-০-৩৭-৪, হেরাথ ৭-০-৩৫-০। |
|
|
|
|
|
|
|