|
|
|
|
৭৩ লাখের ‘ভূতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক’দিন আগে হাতে বিদ্যুৎ বিল পেয়েই চমকে ওঠেন অজিত নাগ। বাড়ি মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুরে। অজিতবাবু ব্যবসা করেন। সাধারণত তিন মাসে দেড় হাজার টাকার বিল হয়। কিন্তু এ বার সেখানে বিল এসেছে ৭৩ লাখ টাকার! শুধু অজিতবাবুরই নয়, এমন ‘ভূতুড়ে’ বিল হাতে পেয়েছেন শহরের আরও কয়েক জন বাসিন্দা।
যেমন, সমীর সিংহ। বাড়ি ওই মহাতাবপুরেই। দোকানে কাজ করেন। তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার! পরে অবশ্য বিল নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরে যেতেই সমীরবাবুরা বুঝতে পারেন, ভুল হয়েছে। দফতরের আধিকারিকেরা স্বীকার করে নেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই পরিস্থিতি।
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহর ও শহরতলি এলাকায় এমন ‘ভূতুড়ে’ বিল এসেছে। সমস্যায় পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। কেন এই অবস্থা? বিদ্যুৎ দফতরের মেদিনীপুর সার্কেলের ম্যানেজার সনৎ বিশ্বাস বলেন, “কেন এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছি। সম্ভবত প্রযুক্তিগত কোনও সমস্যা থেকেই এই ভুল হচ্ছে। তবে এতে গ্রাহকদের উদ্বেগের কিছু নেই।” মহাতাবপুর এলাকাটি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা শহর কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন খানের অবশ্য বক্তব্য, “গ্রাহকদের এই উদ্বেগ স্বাভাবিক। এমন ভুল বার বার কেন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত।” বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, কারও যদি অস্বাভাবিক অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল এসে থাকে তা হলে তিনি তা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ দফতরে জানাতে পারেন। ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
মহাতাবপুরের বাসিন্দা সমীরবাবু জানান, আগের বার তাঁর তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ১ হাজার ৮৬৯ টাকা। এ বার ৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৯ টাকার! তাঁর কথায়, “এত টাকার বিল দেখে তো বাড়ির সকলে চমকে উঠেছিলেন।” একই বক্তব্য অজিতবাবুর। তাঁর কথায়, “আমাদের মতো সাধারণ গৃহস্থের বাড়িতে বিল কী করে ৭৩ লাখার টাকা হতে পারে? বিল পেয়েই বিদ্যুৎ দফতরে গিয়েছিলাম। আধিকারিকেরা অবশ্য ভুল স্বীকার করেছেন।” বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত ত্রুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|